নগরের যেসব নালায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলছে না সেখানে আগামী জানুয়ারির মধ্যে স্ল্যাব দেয়ার টার্গেট রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। নগরের ষোলশহরের চশমা খালে পড়ে নিখোঁজ শিশু কামাল উদ্দিনের উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। গতকাল সন্ধ্যা ৭ টায় ঘটনাস্থলে আসেন তিনি।
নালায় স্ল্যাব না থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ চলছে। এখানে নালার উপর কিভাবে স্ল্যাব তৈরি করব? আমাদের যেসব নালায় কাজ চলছে না, সেখানে স্ল্যাব বসাচ্ছি। নালা আগে যেভাবে ভাঙা ছিল, স্ল্যাবহীন ছিল এখন সেটা কমে এসেছে। প্রায় ফুটপাতে আমরা স্ল্যাব দিয়ে দিয়েছি।
তিনি বলেন, স্ল্যাব তৈরি করে পিউরিং করতেও ১৫ দিন সময় লাগে। তাছাড়া এমন কতগুলো নালা আছে যেগুলো স্ল্যাব দেয়ার উপযুক্ত নয়। সেখানে স্ল্যাব দেয়া সম্ভবও না। এখানে (দুর্ঘটনাকবলিত স্থান) স্ল্যাব দেয়া সম্ভবও না। কাজ শেষ হলে হয়তো ব্যারিয়ার বা পেন্সিং (বেড়া) দেয়া যায়। আবার অনেক জায়গায় পেন্সিংও করা যায় না। কারণ নালার পেছনে দোকান রয়েছে। সেখানে পেন্সিং দেয়া যাবে না। হয়তো ওখানে দোকানদাররা স্ল্যাব দেয়, আবার স্ল্যাবে অনেক সময় ফাঁক থেকে যায়।
খালে আর্বজনা জমে থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চশমা খাল তো উপর থেকে এসেছে। বিভিন্ন জায়গায় দোকানদাররা ককসিট নালায় ফেলে। স্রোতে ভেসে সেগুলো এখানে জমছে। তিনি বলেন, আজকে নালা পরিষ্কার করে গেলাম। কিন্তু কাল এসে দেখা যায় রেস্টুরেন্টের পচা জিনিসপত্র নালায় ফেলে দিয়েছে। তিনি জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নালা-নর্দমায় ময়লা ফেলবেন না, আমরা যে বিন দিয়েছি সেখানে ফেলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাস্তার একটা গর্ত মেরামত করার সময়ও পেন্সিং দিতে হয়। যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। কাজ চলমান অবস্থায় জননিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পেন্সিং দেয়া উচিত। দুর্ঘটনার জন্য কাকে দায়ি করবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কাউকে দায়ি করব না। কারণ ওই ছেলে বোতল কুড়ানোর জন্য নেমেছে। এটা নিরাপত্তার কারণে ঘটেনি। ছেলেটি পড়ে যায়নি। খেলনা কুঁড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে।