জাতীয় লিগের প্রথম ম্যাচে হারের মুখে চট্টগ্রাম

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ১৩ অক্টোবর, ২০২২ at ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় ক্রিকেট লিগের চারদিনের ম্যাচে এখন হারের মুখে চট্টগ্রাম। কারণ ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষেও পিছিয়ে আছে স্বাগতিক চট্টগ্রাম বিভাগ। আর তাই ম্যাচের চতুর্থ ও শেষ দিনে হেরেও যেতে পারে চট্টগ্রাম। কারণ সিলেট বিভাগের করা প্রথম ইনিংসের চাইতে এখনো ২ রানে পিছিয়ে চট্টগ্রাম। এরই মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রাম হারিয়ে ফেলেছে ৪ উইকেট। প্রথম ইনিংসের ন্যয় দ্বিতীয় ইনিংসেও সুবিধা করতে পারেনি তামিম ইকবাল। প্রথম ইনিংসে ৩১ রান করা তামিম দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে ২০ রান। চট্টগ্রাম তৃতীয় দিন শেষে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ করে ৪ উইকেটে ১৬৯ রান। তবে দ্বিতীয় দিনের মত তৃতীয় দিনেও বল হাতে দারুন উজ্জল হাসান মুরাদ। আগের দিন ৫ উইকেট নেওয়া হাসান মুরাদ বাকি তিনটি উইকেটও নিয়েছেন। ফলে আগের দিন ৭ উইকেটে ৩০৩ রান করা সিলেট বিভাগ তৃতীয় দিনে বাকি তিনটি উইকেট হারিয়ে আর মাত্র ৯ রান যোগ করতে সক্ষম হয়। দ্বিতীয় দিনের ১১২ রানের ৫ উইকেটের সাথে গতকাল আর ৭ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট। ফলে তার বোলিং ফিগার দাড়িয়েছে ১১৯ রানে ৮ উইকেট।
সিলেট বিভাগের প্রথম ইনিংসের চাইতে ১৭১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা চট্টগ্রাম শুরুটা ভাল করতে পারেনি। ৩২ রানে ভাঙ্গে উদ্বোধনী জুটি। ২০ রান করা তামিমকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙ্গেন প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া নাবিল সামাদ। প্রথম ইনিংসের ন্যয় দ্বিতীয় ইনিংসেও বল হাতে চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানদের ভোগাচ্ছন নাবিল সামাদ। গতকাল চট্টগ্রামের হারানো ৪ উইকেটের তিনটিই নিয়েছেন এই স্পিনার। দ্বিতীয় উইকেটে পিনাক ঘোষকে নিয়ে আরো ৩০ রান যোগ করেন ওপেনার সাব্বির হোসাইন। ১৫ রান করা পিনাক এলবিডব্লিউর শিকার হন শাহানুরের বলে। এরপর তৃতীয় উইকেটে সৈকত আলিকে নিয়ে ৬৩ রান যোগ করেন সাব্বির। ১০৭ বলে ৩২ রান করা সৈকত আলি ফিরেন নাবিল সামাদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে। দলকে ১৪০ রানে পৌছে দিয়ে ফিরেন সাব্বির। ততক্ষণে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই তরুন। ১৭৬ বলে তার ৫৫ রানের ইনিংসটিতে চারের মার ছিল মাত্র ৩টি। নাবিল সামাদের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেন এই ওপেনার। এরপর পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে দিনের বাকি সময়টা পার করে দেন অধিনায়ক ইরফান শুক্কুর। ইমন ১৪ রানে এবং ইরফান শুক্কুর ২০ রানে অপরাজিত রয়েছেন। সিলেটের পক্ষে ৫৩ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন নাবিল সামাদ। এখনো ২ রানে পিছিয়ে থাকা চট্টগ্রাম বাকি ছয়টি উইকেট হারিয়ে কত রান সংগ্রহ করতে পারে সেটাই এখন দেখার বিষয়। কারন ম্যাচের শেষ দিনে রান তোলাটা বেশ কঠিন। ফলে হারের মুখে দাড়িয়ে আছে এখন স্বাগতিক চট্টগ্রাম। কারণ পুরো দিন এখনো বাকি। স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে আছে এই দুজন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের ফুটবলে নতুন ইতিহাস মাদারবাড়ি উদয়ন সংঘের
পরবর্তী নিবন্ধশিরোপা জিতলো মাদারবাড়ী উদয়ন সংঘ