জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে খাতা মূল্যায়নের অনিয়ম যেন দিনে দিনে এক অঘোষিত সংকটে পরিণত হচ্ছে। প্রশ্নপত্রে যত পরিশ্রমই করা হোক, অনেক শিক্ষার্থীর অভিযোগ তাদের খাতা যথাযথভাবে দেখা হয় না, প্রয়োজনীয় মনোযোগ বা পেশাদারিত্বের অভাব স্পষ্ট। কখনো নম্বর কমে যায়, কখনো উত্তর লিখেও ‘ফাঁকা’ দেখিয়ে দেওয়া হয়, আবার কখনো ভুলভ্রান্তি এত বেশি থাকে যে রেজাল্ট দেখে নিজের ওপর থেকেও আস্থা হারিয়ে ফেলে শিক্ষার্থীরা। অথচ একটি খারাপ রেজাল্ট মানেই শুধু নম্বর হারানো নয়; তা একজন শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস, উচ্চশিক্ষার সুযোগ, চাকরির প্রস্তুতি এবং পুরো ভবিষ্যতের গতিপথকে বদলে দিতে পারে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া উচিত হবে জ্ঞান, ন্যায় ও নির্ভরতার প্রতীক সেখানেই মূল্যায়নের অনিয়ম শিক্ষার্থীদের মনে তৈরি করছে হতাশা ও অনিশ্চয়তা। একজন শিক্ষার্থী সারা বছর পরিশ্রম করবে, কিন্তু তার পরিণতি যদি নির্ভর করে অবহেলামূলক মূল্যায়নের ওপর তাহলে সেই ব্যবস্থার উন্নতির দাবি ওঠাই স্বাভাবিক। পরীক্ষক নিয়োগে দক্ষতার মানদণ্ড, খাতা পুনর্মূল্যায়নের সঠিক ব্যবস্থা এবং ডিজিটাল যাচাই এসব নিশ্চিত করতে পারলে শিক্ষার্থীরা অন্তত বিশ্বাস নিয়ে বলতে পারবে যে আমার পরিশ্রমের ন্যায্য মূল্যায়ন হচ্ছে।
রনি মুহুরী
সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম।












