তুমি নির্ভীক, তুমি বজ্রের ডাক,
রুদ্ধ রাতের নিস্তব্ধতা ভাঙা –
এক চিৎকারের আওয়াজ।
তুমি দ্রোহ, তুমি বিদ্রূপিত শৃঙ্খল ভাঙা হাত,
তুমি আবেগ, তুমি প্রলয় ছুটে আসা মাতাল রাত।
তুমি জাগ্রত, ঘুমন্ত প্রাণে জাগাও আলোর স্বপ্ন,
তুমি প্রেম, তুমি বিরহের অশ্রু–ভেজা গোপন।
তুমি ত্যাগ, তুমি মুক্তির সুর,
অন্ধকার ভেদ করে ওঠা ভোরের নূর।
তুমি উজ্জ্বল, রুদ্র সূর্যের মতো প্রখর,
বাংলার আকাশে আজও তুমি দীপ্ত অমর।
তুমি একা, অথচ লক্ষ প্রাণে বাঁচো,
তুমি আগুন, তুমি বজ্র, তুমি বিপ্লবে নাচো।
তুমি গান, তুমি শিকল ভাঙার সুরেলা টান,
তুমি কবিতা, তুমি ঝড়ের মতো উচ্ছ্বসিত বাণ।
আর কেউ নও তুমি– তোমাতেই তুমি,
কালো রাতের বুক ফুঁড়ে ওঠা আলোকধ্বনি।
তুমি বিদ্রোহী– যুগে যুগে অমলিন,
তুমি কাজী নজরুল,
বাংলার মুকুটহীন রত্নসিংহাসন।
তোমার কলমে জাগে মুক্তির আর্তি,
তুমি চির অনন্ত, তুমি অনিবার্য সত্যি।
তোমার তরে শ্রদ্ধাঞ্জলি
আর কেউ নও তুমি
দুখু মিয়া, হে আমাদের জাতীয় কবি।