জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলেন মিরা রেজনিক

| বুধবার , ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেজনিক বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুষ্ঠুঅবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার বদ্ধপরিকর। খবর বাংলানিউজের।

গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন মিরা রেজনিক। মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তিনি জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, সুষ্ঠুঅবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা বদ্ধপরিকর, প্রধানমন্ত্রীও সে কথা বলেছেন। এখন নির্বাচন কমিশন বাকি কাজগুলো করছে। কমিশনের ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়েও তারা রাজি। ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সঙ্গে সব ধরনের নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে, ইন্দো প্যাসিফিক ইস্যু আছে। তারা চায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক যেন আরও গভীরতর হয়। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সব দিকেই। আমরাও চাইছি তাদের সঙ্গে সম্পর্কে যেন কোনো গ্যাপ না থাকে।

এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এখানে সরাসরি জিসোমিয়াআকসা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়নি। প্রতিরক্ষা সংলাপে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তবে আমরা বলেছি, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে একই ধরনের চুক্তি নিয়ে কাজ আছে। আপনারা জানেন যে, কৌশলগত সংলাপে জাপানও আমাদের কনসিডার করছে, তাদের অফিসিয়াল সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্সে আমাদের তারা ক্যান্ডিডেট কান্ট্রি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সুতরাং বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছি। আগামীতে তাদের সঙ্গেও সেভাবেই আলোচনা হবে বলে আমরা আশা রাখি।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে সচিব বলেন, র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে তারা আলোচনা করেছে। আমরা বলেছি, প্রতিটি হিউম্যান রাইটস ইস্যু নিয়ে যে অভিযোগ আসে, যে প্রতিবেদন আসে, প্রতিটিকেই আমরা খুব সহজেই নিই। আমরা বাহিনীর সঙ্গে আলাপ করে সেগুলোর উত্তর বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দেই। আমরা আমাদের দেশে কোনো ইম্যুনিটির সুযোগ রাখি না। আমাদের প্রতিটি বাহিনীর এসওপি আছে। একটা গুলি খরচ করলেও জবাবদিহি করতে হয়। যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনায় সবসময় সরকার যে ইনভলব থাকে, তা তো নয়। তিনি বলেন, তারা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) চায় না, ইন্দো প্যাসিফিকে কোনো সুনির্দিষ্ট একটি দেশ আধিপত্য বিস্তার করুক, তারা চায় সমুদ্র অবাধ ও মুক্ত থাকুক।

এর আগে, সকালে বাংলাদেশযুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নবম বার্ষিক নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ইন্দোপ্যাসিফিক আঞ্চলিক সমস্যা, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার, সামরিক সহযোগিতা, শান্তিরক্ষা, নিরাপত্তা সহায়তা ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবহাদ্দারহাটে অবৈধ চা প্যাকেজিং কারখানা বন্ধের নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধআজ শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী