জাতীয় ক্রিকেট লিগে ইনিংস ব্যবধানে চট্টগ্রামের হার

স্পোর্টস ডেস্ক | বুধবার , ২৩ অক্টোবর, ২০২৪ at ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় ক্রিকেট লিগে নিজেদের ম্যাচে হার মেনেছে চট্টগ্রাম। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে বৃষ্টিতে প্রায় দেড় দিন ভেসে যাওয়ার পরও চট্টগ্রামকে ইনিংস ও ৮১ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে রংপুর বিভাগ। প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে রংপুর। পরে প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে অলআউট হওয়া চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে করতে পারে ৮৯ রান। খালিদ হাসান ও মিম মোসাদ্দেকের ব্যাটে ভর করে প্রথম ইনিংসে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় রংপুর। ৪ উইকেট পান ফাহাদ হোসেইন। রংপুরের বোলারদের প্রায় সবাইই দাপট দেখান। প্রথম ইনিংসে দুই উইকেট করে নেন শরিফুল ইসলাম, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, আব্দুল্লাহ আল মামমুন, রিশাদ হোসেন ও চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। পরের ইনিংসে মামুন তিনটি ও দুই উইকেট করে নেন মুগ্ধ, শরিফুল ও রিশাদ।

চার ম্যাচের সবগুলোতেই শুরুতে ছিল বৃষ্টির বাধা। শেষ অবধি জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডের দুটি ম্যাচে ফল এলেও বাকি দুটিতে আসেনি। সিলেটের একাডেমি মাঠে বরিশাল বিভাগকে ৮ উইকেটে হারিয়ে দেয় ঢাকা মেট্রো। এ ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪০৮ রান করে ঢাকা। জবাবে ২১৯ রানে অলআউট হওয়া বরিশাল পড়ে ফলো অনে। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫১ রানে অলআউট হয় তাড়া। পরে ৬৩ রান করে মাচ জিতে নেয় ঢাকা। এ ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ঢাকার হয়ে সেঞ্চুরি হাঁকান আইচ মোল্লা ও মার্শাল আইয়ুব। বরিশালকে প্রথম ইনিংসে অল্পতে থামিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মেট্রোর আশরাফুল ইসলাম সিয়াম। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকে পাঁচ উইকেট নেন তিনি। বরিশালের দ্বিতীয় ইনিংসেও তিন উইকেট নেন সিয়াম। তিন উইকেট পেয়েছেন শহিদুল ইসলামও। এ ইনিংসে বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান আসে তাসামুল হকের ব্যাট থেকে। শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সিলেট ও ঢাকা বিভাগের ম্যাচটি ড্র হয়েছে। এ ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট হয়। পরে ঢাকা ২২৪ রান করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে। দ্বিতীয় ইনিংসে সিলেট ২৫৭ রান করার পর ম্যাচ ড্র ঘোষণা করা হয়।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ম্যাচটিও ড্র হয়েছে। প্রথম ইনিংসে তানজিদ তামিমের সেঞ্চুরিতে ৪২৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় রাজশাহী। ওই ইনিংসে খুলনার হয়ে পাঁচ উইকেট নেন আল আমিন হোসেন। নিজেদের প্রথম ইনিংসে স্রেফ ১৯৪ রানে অলআউট হয় খুলনা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন জিয়াউর রহমান। রাজশাহীর হয়ে ছয় উইকেট নেন এস এম মেহরব হোসেন। সাব্বির হোসেনের ১৫০ রানে ভর করে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে রাজশাহী। বিশাল রান তাড়া করতে নেমে অবশ্য এবার খুলনার হয়ে হাল ধরেন দুই ওপেনার। এর মধ্যে ২৫৭ বলে ৮৭ রান করে অমিত মজুমদার। সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে ১১৬ বলে ৮৯ রান আসে। ৭ উইকেট হারিয়ে তারা ৩১১ রান করলে ইনিংস ঘোষণা করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিজের সমালোচনা হওয়া উচিত মনে করেন সাকিব
পরবর্তী নিবন্ধসাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে আজ ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ