জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ড গড়া জয় চট্টগ্রামের

তবুও সুতোয় ঝুলছে প্রথম স্তরে উঠে আসা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ১৯ মার্চ, ২০২৫ at ৪:৪২ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে বিশাল জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম জেরা দল। কিন্তু প্রথম ম্যাচে গাজিপুরের কাছে হারের ফলে চট্টগ্রামের প্রথম টায়ারে উঠে আসাটা ঝুলছে অনেক যদি কিন্তুর উপর। গ্রুপে চারটি দল। গাজিপুরের কাছে হার দিয়ে শুরু করা চট্টগ্রাম গতকাল শেরপুর জেলা দলকে হারিয়েছে ৩১৯ রানের রেকর্ড গড়া ব্যবধানে। প্রথমে ব্যাট করে রেকর্ড গড়া ৪৫৫ রান করার পর প্রতিপক্ষ শেরপুর জেলাকে অল আউট করে দিয়েছে মাত্র ১৩৬ রানে। ব্যাট হাতে এস এম তৌসিফ ১৬৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পর বল হাতে ২৪ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন সাজেদুল রিফাত।

এই জয়ের পরও চট্টগ্রাম প্রথম টায়ারে উঠে আসতে পারবে কিনা তা নির্ভর করছে পরের দুটি ম্যাচের ফলের উপর। যেখানে রাঙ্গামাটি জেলা দলের কাছে হারতে হবে গাজিপুর জেলা দলকে। আর চট্টগ্রামকে জিততে হবে রাঙ্গামাটি জেলা দলের বিপক্ষে। তাহলে প্রথম টায়ারে উঠতে পারবে চট্টগ্রাম। নাহয় দ্বিতীয় টায়ারেই থেকে যেতে হবে। জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরে লজ্জাজনকভাবে প্রথম টায়ার থেকে দ্বিতীয় টায়ারে নেমে গিয়েছিল চট্টগ্রাম। গতকাল রাজশাহী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নামে চট্টগ্রাম। উদ্বোধনী জুটি ৭৫ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন। ১৯ বলে ৩৭ রান করে ফিরেন কপিল উদ্দিন। এরপর তৃতীয় উইকেটে মিনহাজকে নিয়ে ১১৭ রান যোগ করেন তৌসিফ। ৯০ বলে ১৭টি চার এবং ১০টি ছক্কার সাহায্যে ১৬৫ রান করে ফিরেন তৌসিফ।

চতুর্থ উইকেটে কাজি কামরুলকে নিয়ে আরো ১০৬ রান যোগ করেন মিনহাজ সৌরভ। ৬৬ বলে ৫৮ রান করে ফিরেন মিনহাজ সৌরভ। দলকে ৩৭২ রানে পৌছে দিয়ে ফিরেন অধিনায়ক কামরুল। তার ব্যাট থেকে আসে ৪১ বলে ৫৩ রান। যেখানে তিনি ৬টি চার এবং একটি ছক্কা মেরেছেন। শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা দলের ইনিংস গিয়ে পৌছে ৪৯.৪ ওভারে ৪৫৫ রান। যা জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ড। দলের পক্ষে ওমর হাসান ২৪ বলে ২৬, শোয়েব চৌধুরী ৩১ বলে ৪৭ এবং রুবেল ১৫ বলে করেন ২৩ রান। শেরপুর জেলা দলের পক্ষে ৩টি উইকেট নিয়েছেন আবদুল বাকি। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নজরুল এবং মামুন।

৪৫৬ রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে গিয়ে শুরু থেকেই সাজেদ রিফাতের ঘুর্ণির মুখে পড়ে শেরপুর জেলা দলের ব্যাটাররা। ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ২৮ রানের মাথায় আরেক ওপেনারকেও হারায় শেরপুর। এরপর মাহমুদুল হাসান একাই লড়াই করে গেছেন চট্টগ্রামের বোলারদের সামনে। ৮৮ বলে ৭টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৬৪ রান করে শেষ পর্যন্ত রুবেলের বলে আউট হন মাহমুদুল হাসান। শেষ পর্যন্ত ৩০.২ ওভারে ১৩৬ রান করে অল আউট হয় শেরপুর জেলা দল। অন্যদের মধ্যে বাকি ১৫, অনিক ১০, তৌহিদ ১৩ ছাড়া বাকি কেউই দুই অংকের ঘরে যেতে পারেনি। চট্টগ্রাম জেলা দলের পক্ষে সাজেদুল রিফাত ১০ ওভার বল করে ২৪ রান খরচায় ৫ টি উইকেট নিয়ে শেরপুরের ব্যাটিংয়ে ধ্বস নামান। ১৮ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন কাজি কামরুল। একটি করে উইকেট নিয়েছেণ রুবেল এবং আরমান। আগামীকাল বৃহষ্পতিবার রাঙ্গামাটি জেলা দলের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম নিজেদের শেষ ম্যাচে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিসিবির তিন কমিটির চেয়ারম্যান মনজুর আলম
পরবর্তী নিবন্ধসন্দ্বীপ নৌ-রুটে আজ থেকে চলবে পরীক্ষামূলক ফেরি ও সি-ট্রাক