মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে ভাষণ প্রদান করেন। তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরের আন্তঃসংযুক্ত সংকটগুলির কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য, জ্বালানি এবং পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, বাংলাদেশ তার প্রতিটি মানুষের জন্য খাদ্য নিশ্চিত করেছে। নিম্ন আয়ের প্রায় ১ কোটি মানুষকে সাশ্রয়ী দামে চাল ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের বিজ্ঞানীরা খরা, লবণাক্ততা, জলমগ্নতাসহ বিরূপ আবহাওয়া উপযোগী ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছেন। ২০২২ সালে গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ গঠন এবং এর মাধ্যমে বৈশ্বিক খাদ্য, শক্তি এবং অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে বিভিন্নমুখী সমাধান প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিবকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। ‘ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ’ অকার্যকর হয়ে পড়ার জন্য তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এ ব্যবস্থার দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানান। নিরবচ্ছিন্নভাবে সারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য বলেন। উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণের জন্য বৈশ্বিক বিনিয়োগের কথা বলেন। তাছাড়া জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য আঞ্চলিক ‘খাদ্য ব্যাংক’ চালু করার প্রস্তাব করেন তিনি। জলবায়ু–সহনশীল ফসলের গবেষণায় একে অপরকে সহযোগিতার আহ্বান জানান। ভিশন ২০৪১–এর আওতায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে বাংলাদেশ সরকার বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে এমন একটি উচ্চ আয়ের, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত দেশে পরিণত করা হবে; যা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার এবং নিত্য নতুন উদ্ভাবনের পথ উন্মুক্ত করবে। সে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন, লিঙ্গসমতা নিশ্চিতকরণ এবং পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রেখে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতির আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। টেকসই প্রযুক্তির সমতাভিত্তিক প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা গেলে তা টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যাপকভাবে সহায়ক হবে। দক্ষিণ–দক্ষিণ এবং ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতার মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসার এবং এর সুফলসমূহের সমতাভিত্তিক বণ্টন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ ‘ডেল্টা প্ল্যান–২১০০’ বাস্তবায়ন করছে। এর লক্ষ্য হলো সমন্বিত ব–দ্বীপ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একটি নিরাপদ, জলবায়ু সহনশীল এবং সমৃদ্ধ ডেল্টা অর্জন। বাংলাদেশ সরকার ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ গ্রহণ করেছে। একটি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে জলবায়ু সহনশীল দেশে পরিণত হতে কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশের ৬০ লাখের বেশি মানুষ সোলার হোম সিস্টেম ব্যবহার করছে। ২০৪১ সালের মধ্যে শক্তির ৪০% পুনঃনবায়নযোগ্য উৎস থেকে পাওয়া যাবে। উন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের উন্নয়ন চাহিদার কথা বিবেচনা করতে হবে। ২৭তম জলবায়ু সম্মেলনে গৃহীত ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত তহবিলের জরুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, লবণাক্ততা, নদী ক্ষয়, বন্যা ও খরাজনিত কারণে জলবায়ু–অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগাভাগির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংহতির আহ্বান জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
এসডিজি অর্জনে নারীর প্রতি বৈষম্যের অবসানকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছে বাংলাদেশ। জাতীয় বাজেটের মোট ৩০ শতাংশ নারীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সরকারের শীর্ষ থেকে সর্বনিম্ন সকল স্তরে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিটি খাতে ৫০ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে উপযুক্ত আইন প্রণয়ন ও যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ, নারীর প্রতি সহিংসতা, নারী পাচার এবং অন্যান্য অপরাধ নিরসনের জন্য কাজ করছে সরকার। নারীর অগ্রগতির জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ‘প্ল্যাটফর্ম ফর উইমেন লিডার’–এর মাধ্যমে সকল আন্তর্জাতিক উদ্যোগের সমর্থন রয়েছে। বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনের ০.৪৭% এরও কম অবদান রাখলেও বাংলাদেশ জলবায়ুজনিত ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য মারাত্মক হুমকি। এর সমাধানের লক্ষ্যে জরুরি, সাহসী এবং উচ্চাভিলাষী সম্মিলিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। বাংলাদেশ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও সংরক্ষণ এবং জলবায়ু–সহনশীল টেকসই উন্নয়নের পথ অনুসরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্যারিস চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ সবুজ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার জাতীয় স্বল্প–কার্বন নির্গমন কৌশল প্রণয়ন করছে। জলবায়ু অভিযোজনের জন্য ২০০৯ সালে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছি এবং নিজস্ব সম্পদ থেকে এই তহবিলে এ পর্যন্ত ৪৮০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। জলবায়ু অভিযোজন এবং প্রশমনের লক্ষ্যে সমুদ্র উপকূলে বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, গ্রিন বেল্ট এবং বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আবাসন প্রকল্প কক্সবাজারে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সেখানে ৪ হাজার ৪০৯টি উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য সব ধরনের সুযোগ–সুবিধাসহ ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগ ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ ৪০ হাজার পরিবারের ৫০ লাখ মানুষকে বিনামূল্যে ঘর দেওয়া হয়েছে।
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ এবং তৎসংশ্লিষ্ট হুমকি; যা প্রতিনিয়ত তথ্যের অপব্যবহার এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে আবির্ভূত হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতি গ্রহণ করেছে। সন্ত্রাসবাদ কার্যক্রম সংঘটনে বা অন্য কারো ক্ষতি সাধনে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহৃত হতে দেয়া হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। সর্বজনীন ও সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পূর্ণাঙ্গ ও অবিচল। বাংলাদেশ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ সকল আন্তর্জাতিক নিরস্ত্রীকরণ এবং পারমাণবিক অস্ত্রসহ অন্যান্য অস্ত্রেও প্রসারণ বন্ধ বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ অনতিবিলম্বে আন্তর্জাতিক নিরস্ত্রীকরণ এবং অস্ত্রের প্রসারণ বন্ধ বিষয়ক চুক্তিসমূহের পূর্ণ বাস্তবায়ন চায়। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদান বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি এদেশের অঙ্গীকারেরই বহিঃপ্রকাশ। অদ্যাবধি ১ লাখ ৮৮ হাজার বাংলাদেশী নারী ও পুরুষ ৪০টি দেশে ৫৫টি শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীগণ তাঁদের পেশাগত দক্ষতা ও কাজের জন্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনে নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে এবং নিজেদের অভিজ্ঞতার আলাকে সংঘাত–পরবর্তী পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমুদ্রসীমার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পর সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশের অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন করেছে। সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবহারকে কাজে লাগানোর জন্য সমুদ্রের আইন সম্পর্কিত জাতিসংঘ কনভেনশনের বিধানগুলির কার্যকর বাস্তবায়ন আবশ্যক। জাতিসংঘের সমুদ্র সম্পর্কিত আইন অনুযায়ী দেশসমূহের জাতীয় অধিকারভুক্ত এলাকার বাইরে সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্যের সংরক্ষণে বাংলাদেশ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ সম্প্রতি তার ‘ইন্দো–প্যাসিফিক আউটলুক’ প্রকাশ করেছে, যেখানে ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং সহযোগিতার মাধ্যমে সমুদ্রপথ এবং সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির সম্প্রসারণের জন্য কিছু মানদণ্ড স্থাপনের ধারণার প্রশংসা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এসকল লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা যেমন পর্যাপ্ত অর্থায়ন, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং উত্তম চর্চাসহ বিনিময় নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশের এই সাফল্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দ্বারা স্বীকৃত এবং প্রশংসিত হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টিও উঠে এসেছে। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, গত মাসে রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার ছয় বছর পূর্ণ হয়েছে। মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দিলেও পরিস্থিতি এখন সত্যিকারঅর্থেই অসহনীয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতি এদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। প্রত্যাবাসন নিয়ে অনিশ্চিয়তা রোহিঙ্গাদের মধ্যে হতাশার জন্ম দিয়েছে। এই পরিস্থিতি মৌলবাদের ইন্ধন দিতে পারে। এই অবস্থা চলমান থাকলে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে। বাস্তুচ্যুত এসব রোহিঙ্গারা নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে ইচ্ছুক এবং তারা সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে জীবন–যাপন করতে ইচ্ছুক। তাদের নিজ দেশে নিরাপদে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে তিনি বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানান।
সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বছর আমরা সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ৭৫তম বার্ষিকী পালন করছি। এই মাহেন্দ্রক্ষণে বিশ্ব মানবতার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে সকলের জন্য সমতা, ন্যায্যতা, স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। পাশাপাশি মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টি যাতে উন্নয়নশীল দেশের উপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টিতে যাতে ব্যবহৃত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান সকলের মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করে। সকলকে আইনগত সুরক্ষা প্রদান ও সুবিচার নিশ্চিতকরণে গত এক দশকে বাংলাদেশের আইনি ব্যবস্থার তাৎপর্যপূর্ণ সংশোধন করা হয়েছে। একটি দায়িত্বশলি রাষ্ট্র হিসেবে, জনগণের মানবাধিকার রক্ষায় আমরা সম্পূর্ণরূপে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এই অধিবেশনে তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেন যে, বাংলাদেশ সংবিধানের আলোকে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে যাবে। যুদ্ধ ও সংঘাতের পথ পরিহার এবং সাধারণ জনসাধারণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্থায়ী শান্তি, মানবজাতির কল্যাণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য বিশ্বনেতাদের নিকট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে আহ্বান জানান।
লেখক : শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।