যখন শুনেছি দেশের বিভিন্ন জায়গায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মিত হবে তখন থেকেই খুব ভালো লাগছে। যদিও বেশ কিছুদিন ধরে ফেসবুক থেকে শুরু করে বিভিন্ন মিডিয়ায় ভাস্কর্য নিয়ে নানারকম আলাপ আলোচনা হচ্ছে। জাতির পিতার ভাস্কর্য হবে এটা কেউ কেউ মানতে পারছেননা। তারা তাদের মত কিছু যুক্তি দেখাচ্ছেন। অন্যদিকে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী স্বাধীন বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের পক্ষে। পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে শুরু করে অন্যান্য ধর্মালম্বীর দেশেও ভাস্কর্য আছে। জাতির পিতার ভাস্কর্য আমাদের দেশে অনেক আগেই করার দরকার ছিল। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর নির্মাণ করার চিন্তা আসলেই বেদনাদায়ক।এই ভাস্কর্য নির্মাণের ফলে আগামী প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা অনেক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং মুজিব বর্ষ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভারত, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মিশর প্রায় প্রতিটি দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। ভাস্কর্যের মাধ্যমে একটি দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরা যায়। একটি দেশের সংস্কৃতি জানা যায়। আসলে একটি ভালো কাজ করতে গেলে অনেক কথা আসে। সমাজে একটি ভালো কাজ করতে যাবেন। খুব সহজে করতে পারবেন না। আপনার পেছনে অনেক সমালোচক সৃষ্টি হবে। যারা আপনাকে বিভিন্ন ভাবে বিভ্রান্ত করবে। আপনার নামে মিথ্যাকে সত্য আবার সত্যকে মিথ্যা বানিয়ে প্রচার করতে থাকবে। এই সব সমালোচকের ভয়ে অনেক বিশিষ্টজন সমাজের গঠনমূলক কাজে নিজেকে জড়াতে চাননা। এই সব সমালোচক ভালো কোনো কাজ করেননা। গ্রামের একজন গরীব মেয়ে দেবেন। এই সমালোচককে আর কাছে পাবেননা। অসুস্থ কোনো ব্যক্তিকে সেবা দেওয়ার জন্য এই সমালোচকের দেখা পাবেননা। আলোচনা বলুন আর সমালোচনা বলুন দেশের সুনাম বৃদ্ধিতে যেটা ভবিষ্যতে কাজে আসবে সেটাতেই আমরা থাকব। আমি নিজে ধর্ম পালন করি পাশাপাশি অন্য ধর্মকে সম্মান করি। নিজের ধর্ম পালন করার পাশাপাশি অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি সহমর্মিতা দেখানো উচিত। সামপ্রদায়িকতা একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। কিন্তু দুঃখের সাথে লিখতে হচ্ছে যারা জীবনে দেশের মঙ্গলের জন্য ফেসবুকে লিখেনি তারা আবার নতুন করে উস্কানিমূলক কথা লিখছে। ভাস্কর্য বিরোধী কথা লিখতে গিয়ে দেশের সব মূর্তি ভেঙে দেওয়ার আহবান জানাচ্ছে। কেউ কেউ বিদেশের মাটিতে বসে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। নিজ নিজ ধর্মকে ভালোবাসুন। দেশের মানুষকে ভালোবাসুন। নিজের মতামত প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে খেয়াল রাখবেন আরেকজনের যেন অকল্যাণ না হয়। ধর্ম মানবতার কথা বলে।