টানা ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় নগরীর অনেক এলাকার বাসা–বাড়ির রিজার্ভারের পানি দূষিত হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। তাই এসব এলাকার রিজার্ভারগুলো দ্রুত পরিষ্কার করা এবং পানি ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। রিজার্ভারগুলো পরিষ্কারে প্রয়োজনে ওয়াসার বিভিন্ন মডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলীদের সাহায্য নেওয়ার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে জলাবদ্ধতায় যেসব এলাকা ডুবে গেছে সেখানকার বাসিন্দাদের এখনই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ওয়াসার সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। ইতোমধ্যে জলাবদ্ধতার শিকার হালিশহর এইচ ব্লকের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে ওয়াসার সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী আজাদীকে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে এখনই সতর্ক না হলে ডায়রিয়ার প্রকোপ আরো ভয়াবহ হতে পারে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মো. মাকসুদ আলম।
গত ৩ আগস্ট থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত একটানা ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের কারণে নগরীতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে নগরীর অনেক এলাকা ডুবে যায়। অনেক এলাকায় ৪/৫ দিনেও পানি নামেনি। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার নগরীতে জলাবদ্ধতা বেশি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। যেসব এলাকা জলাবদ্ধ হয়েছে সেইসব এলাকার রিজার্ভার এবং সেপটিক ট্যাংকের পানি মিশে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই কারণে নগরবাসীকে আগে থেকেই সতর্ক করেছে ওয়াসা।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মো. মাকসুদ আলম আজাদীকে বলেন, এবার নগরীর ৪০ শতাংশ বাসা–বাড়ির ভূগর্ভস্থ নিজস্ব পানির রিজার্ভার ও সেপটিক ট্যাংক ডুবে গেছে। এতে রিজার্ভার ও সেপটিক ট্যাংকের পানি মিশে গেছে। আমাদের কাছে ফোন করে স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, হালিশহর এইচ ব্লকে রিজার্ভার ও সেপটিক ট্যাংকের পানি মিশে যাওয়ায় সেখানে বেশ কয়েকজনের ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। তাই এখনই যদি সতর্ক না হয় তাহলে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, পানিতে ডুবে যাওয়া রিজার্ভারগুলো ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। কীভাবে পরিষ্কার করতে হবে তা জানার জন্য আমাদের বিভিন্ন মডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলীদের সাহায্য নেয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নগরবাসীকে জানিয়েছি। এছাড়া পানি ফুটিয়ে খেতে হবে।