বাঁশখালী পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর জলদী সৈয়দ বাহারউল্লা পাড়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ৪টি বাড়ি ও বাড়ি সংলগ্ন ১টি গ্যারেজের দোকান পুড়ে গেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আনছারুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম,নুরুল ইসলাম ও মো. রিয়াদুল ইসলামের বাড়ির সম্পূর্ণ মালামাল ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। একই ঘটনায় বাঁশখালীর প্রধান সড়কের পাশে ও বাড়ি সংলগ্ন মৌলভী নুরুল ইসলামের গাড়ির গ্যারেজের দোকানের মালামাল পুড়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৪০ লক্ষাধিক ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান। আগুন নিভাতে নিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হয় , তার মধ্যে পৌরসভার কর্মচারী জিয়াউর রহমান ও আবুল কাসেম ও রয়েছে বলে জানা যায় । আগুনের শুরুতে তীব্রতা থাকায় আগুন নেভাতে সাধারন জনগন সাহস পায়নি। পরে ফায়ার
সার্ভিস দলের সদস্যরা আসলে তাদের সাথে নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হলে ও আগুনে সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায় বলে জানান বাড়ির মালিক আনছারুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম। তারা আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় তারা বাড়িতে ছিলেননা। আগুন লাগার পর এসে বাড়িতে ঢুকেেত পারেনি। একই সময়ে গ্যারেজের দোকান গুলোতে অগ্নিকাণ্ডে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানান গ্যারেজের মালিকেরা।স্থানীয় জনগন এবং বাঁশখালীর ফায়ার সার্ভিস দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসলেও তার আগে বাড়ি ও গ্যারেজের মালামাল পুড়ে যায়। খবর পেয়ে পৌরসভার মেয়র এসএম তোফাইল বিন হোছাইন ঘটনাস্থলে ছুটে যান, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের পৌরসভার পক্ষ থেকে শীতের কম্বল ও খাদ্য সামগ্রী প্রদান সহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। পৌরসভার মেয়র এসএম তোফাইল বিন হোছাইন বলেন, আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪০ লক্ষাধিক ছাড়িয়ে যাবে, তবে ফায়ার সার্ভিস টিম যথাসময়ে না আসলে আরো বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতো বলে তিনি জানান।
ফায়ার সার্ভিস টিমের ইনচার্জ মো. আযাদুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছাই এবং দ্রুত সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য কাজ করেছি। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।