দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রত্যয় নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে বঙ্গোপসাগর ভিত্তিক জলদস্যুরা।
বাঁশখালী, মহেষখালী, কুতুবদিয়া ও চকরিয়া এলাকার ৪০ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম র্যাব-৭ এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে সকালে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ভুমিমন্ত্রী, সাংসদ, আইজিপি, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজি র্যাব, পুলিশসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চাম্বল মাঠে অবতরণ করার পর সেখানে বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানস্থলে আগমন করবেন।
সেখানে সকাল ১১টায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে বলে জানা যায়।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী সহ কয়েক লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে কিন্তু বঙ্গোপসাগর ভিত্তিক জলদস্যু বাহিনীগুলো কারণে-অকারণে ডাকাতি ও মাছ লুট সহ নানা কারণে জেলেদের জীবন বিপন্ন করে তোলে।
বিগত দিনে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের হামলায় অনেক জেলে নির্মম হত্যার শিকার হলে টনক নড়ে প্রশাসনের।
সেই সময়ে যে কয়জন বঙ্গোপসাগরের জলদস্যুর নাম উঠে তাদের মধ্যে আবদুল হাকিম বাইশ্যাও আত্মসমর্পণ করছে।
এছাড়া ছনুয়ার প্যানেল চেয়ারম্যানও ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুছ, আবদুল গফুর সহ প্রায় ৪০ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবেন বলে সূত্রে প্রকাশ।
আর যে সব জলদস্যু আত্মসমর্পণ করবেন তারা বিগত কিছুদিন আগে থেকে সেফহোমে রয়েছে বলে জানা যায়।
বিগত সময়ে বর্তমান সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে জলদস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনে কর্মসংস্থান করার উদ্যোগ গ্রহণ করায় তারই ধারাবাহিকতায় এবার বাঁশখালী, মহেষখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া এলাকার অর্ধশতাধিক জলদস্যু আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে।
উপজেলা থানা প্রশাসন সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ভূমি মন্ত্রী, আইজিপি, র্যাব পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার হাতে তাদের ব্যবহার করা অস্ত্র তুলে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত মাঠে কাজ করে যাচ্ছিল প্রশাসনের লোকজন।
চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তৈরি করা হয়েছে হেলিপ্যাড। বাঁশখালী পৌরসভা কার্যালয়ে অতিথিদের বিশ্রামাগার প্রস্তুত করা হয়েছে। সরকারি আলাওল কলেজ ও বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সর্বত্র র্যাব-এর বিশেষ টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে।