আগামী মাসেই নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট। আর সে টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি হিসেবে ‘এ’ দলের ব্যানারে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পাঠানো হয় শ্রীলংকায়। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এবং পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটি ওয়ানডে ভেসে যায় বৃষ্টিতে। তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচটিও বৃষ্টির কারনে পরিণত হয় টি–টোয়েন্টিতে।
ফলে ছয়টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতেছে বাংলার নারীরা। গতকাল কলম্বোতে দুই দলের পঞ্চম ও শেষ টি–টোয়েন্টিতে ব্যাটে–বলে আধিপত্য বিস্তার করে ৮ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষকে ৫৬ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে ৫০ বল বাকি থাকতে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে সফরকারীরা। নামে ‘এ’ দল হলেও টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতে জাতীয় দলের সব ক্রিকেটার নিয়েই শ্রীলঙ্কায় গেছে বাংলাদেশ। প্রস্তুতিটা ভালোই হয়েছে তাদের। পাঁচটি–টোয়েন্টির সিরিজটি জিতে নিয়েছে ৪–১ ব্যবধানে। বাংলাদেশের সফলতম বোলার রাবেয়া খান মাত্র ৭ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। দারুণ বোলিংয়ে দুটি করে শিকার ধরেন মারুফা, নাহিদা ও ফাহিমা খাতুন।
টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে শুরুতে চেপে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা। প্রথম ওভারেই টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন পেসার মারুফা। পরে অন্যরাও যোগ দেন উইকেট নেওয়ার উৎসবে। পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারানো লঙ্কানরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এক ওভারে দুই শিকার ধরেন লেগ স্পিনার রাবেয়াও। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্বাগতিকদের ইনিংসে দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন কেবল একজন। তিনি ভিমুক্তি। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১১ রান। ১৬.২ ওভার ব্যাট করে ৫৬ রানে অল আউট হয় লংকান নারীরা। প্রতিপক্ষকে অল্পতে থামিয়ে দিয়েও স্বস্তিতে শুরুটা করতে পারেনি বাংলাদেশের নারীরা। ৫৭ রানে জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম দুই ওভারে সাথি রানী ও মুর্শিদা খাতুনকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
এরপর অবশ্য দলকে আর কোনো বিপদে পড়তে দেননি দিলারা আক্তার ও নিগার সুলতানা। এ দু’জন মিলে মাত্র ১১.৪ ওভারে দলকে জয়ের বন্দরে পেঁৗঁছে দেন। ৩৪ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৩৩ রান করে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফিরেন দিলারা।
অপর প্রান্তে ২৫ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক নিগার সোলতানা জ্যোতি। ৫ ম্যাচের সিরিজটি ৪–১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ নারী ‘এ’ দল।