জমি অধিগ্রহণের অর্থ দ্রুত একসঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ

| বৃহস্পতিবার , ৩ মার্চ, ২০২২ at ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ

সরকারের প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ করা হলে এর মালিককে দ্রুত সময়ের মধ্যে এবং সম্ভব হলে একবারেই পুরা অর্থ পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে সরকার প্রধানের এই নির্দেশনা আসে। জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরুর আগে ওই জমির ছবি তুলে রাখার নির্দেশনাও তিনি দিয়েছেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। খবর বিডিনিউজের।
গণভবনে থেকে ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই বৈঠকের পর পরিকল্পনামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে আসেন। ভূমি অধিগ্রহণ, বিদ্যুতের তার, খুঁটি বা পানির লাইন সরানোসহ সংশ্লিষ্ট কাজে আলাদা প্রকল্প করার জন্য একটা প্রস্তাব এসেছিল এই বৈঠকে। প্রকল্পটি অনুমোদন না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলো দেন বলে জানান মান্নান।
বিভিন্ন সময় নানা প্রকল্পের জন্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করলে সেই টাকা জমির মালিকদের পাওয়ার ক্ষেত্রে নানা ঝঞ্ঝাট পোহাতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এক সময়ে জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালনকারী মান্নান বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, জমি অধিগ্রহণের টাকাটা ডিসি অফিসের মাধ্যমে হয়। এই সকল অফিসে ভূমি অধিগ্রহণ সেকশনের টাকার ফ্লোটা স্মুদ নয়, বাধাগ্রস্ত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ সন্বন্ধে আমাদের সচেতন হতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, জমি অধিগ্রহণের মূল সমস্যাটা হল টাকাটা বিতরণ। সিস্টেমটাকে সোজা করেন, সহজ করেন, সরল করেন। অধিগৃহীত জমির টাকা পরিশোধ ব্যবস্থা দ্রুত, পারলে একেবারে করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
জমি অধিগ্রহণের ঠিক আগে বেশি অর্থ পাওয়ার আশায় অনেকে সেখানে কাঠামো গড়ে তোলেন। কেননা পতিত জমিতে যে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়, কাঠামো থাকলে তার রকম ফেরের উপর অর্থের অঙ্কও বাড়ে। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী অধিগ্রহণ শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট জমির ছবি তুলে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আপনারা যখনই চিন্তা করবেন জমি অধিগ্রহণ করবেন, তার আগে ওই জমির ফটোটা নিয়ে নেবেন। যাতে পরে যদি মালিক দাবি করে যে ওই জায়গায় আমার স্থাপনা ছিল, তখন যাতে দেখানো যায়- এই যে আপনার ছবি।
প্রস্তাবিত প্রকল্প পাস না হওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্প শুরুর আগে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে রাখতে প্রস্তাবিত ওই প্রকল্প আরও ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকই পানির স্রোতধারায় হবে বারবার বিদ্যুৎ উৎপাদন
পরবর্তী নিবন্ধবক্তব্য শেষে ‘জয় বাংলা’ বাধ্যতামূলক