রাজধানীর বারিধারা থেকে জব্দ করা যুক্তরাজ্যের তৈরি রোলস রয়েস ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিইপিজেডের জেড অ্যান্ড জেড ইনটিমেটস লিমিটেডকে ৫৬ কোটি টাকা জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গাড়িটি গত ৬ জুলাই আমদানিকারকের বাড়ি থেকে জব্দ করেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। জেড অ্যান্ড জেড ইনটিমেটস লিমিটেড অনন্ত গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।
কাস্টমস আইন ১৯৬৯-এর ৯, ১০, ১৬, ১৮, ৮০ ও ১১১ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ফাইজুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবেদন করলেও জেড অ্যান্ড জেড ইনটিমেটস শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে না। ফলে জরিমানা ছাড়াও তাদের শুল্ক বাবদ দিতে হবে প্রায় ২৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আদেশে ৩০ দিনের মধ্যে শুল্ক কর ও জরিমানা পরিশোধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আমদানিকারক চাইলে কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রাইব্যুনালে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
এদিকে গাড়িটি জব্দের পর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানিয়েছিল, রোলস রয়েস গাড়িটি এসআরও (স্ট্যাটুটরি রেগুলেটরি অর্ডার) এবং কাস্টমস মূসক সিপিসি (কাস্টমস প্রসিডিউর কোড) ১৭০-এর আওতায় আমদানি করা। এই আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুসারে ২ হাজার সিসি পর্যন্ত গাড়ি আমদানি শুল্কমুক্ত হবে। গাড়ির বনেটে থাকা স্টিকারে গাড়িটি ৬ হাজার ৭৫০ সিসি বলে উল্লেখ আছে।
কাস্টমসের নথি অনুযায়ী, ১৭ মে গাড়িটি যুক্তরাজ্যের ভারটেক্স অটো লিমিটেড থেকে আমদানি করে বাংলাদেশের অনন্ত গ্রুপ ও হংকং নাগরিকের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জেড অ্যান্ড জেড ইনটিমেটস লিমিটেড। এছাড়া ৬৭৫০ সিসির গাড়িটির দাম দেখানো হয়েছে ২ লাখ ডলার। এ ব্যাপারে জানার জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনার ফাইজুর রহমানকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল আলম বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা গাড়িটি অবৈধভাবে খালাসের জন্য আটক করেছিল। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারের কাছে পাঠিয়ে নিয়ম অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করি।









