আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু খুনের মামলায় আরো একজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার নাম মো. আজমীর শরীফ। তিনি পিবিআই মেট্রো কার্যালয়ের তৎকালিন এএসআই। তিনি মিতু খুনের মামলার জব্দ তালিকার একজন সাক্ষী।
গতকাল চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন তার সাক্ষ্য রেকর্ড করেন। সাক্ষ্যে এএসআই মো. আজমীর শরীফ বলেন, ২০২১ সালের ১০ মে আমি পিবিআই মেট্রো অফিসে দায়িত্বরত ছিলাম। সেদিন কাজী আল মামুনের উপস্থাপন করা একটি সিম্পোনি ফোন ও একটি অপ্পো ফোন জব্দ করেন তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা। একই দিন সাইফুল হক নামের অপর একজনেরও একটি সিম্পোনি ফোন জব্দ করা হয়। ওই সময় জব্দ তালিকায় আমাকে স্বাক্ষর করতে বললে আমি তা করি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কেশব নাথ আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ নিয়ে ৩৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, এক এনজিও কর্মীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে স্ত্রী মিতুকে খুন করিয়েছেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার নিজেই–এমনটা উল্লেখ করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ২০৮৪ পৃষ্ঠার ডকেট ও ২০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক। মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল ৬ বছর আগে যে মামলা করেছিলেন তাতেই তাকে প্রধান আসামি করে এই চার্জশিট দেয়া হয়। বাবুল ছাড়া চার্জশিটভুক্ত বাকি ৬ জন হলেন মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম মুসা ও মো. খায়রুল ইসলাম কালু। এর আগে ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোড এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মিতু।