জন্মনিবন্ধনে জালিয়াতি ১৮টির মধ্যে ১৭টির ঠিকানা ভুয়া

| মঙ্গলবার , ২৫ জুলাই, ২০২৩ at ৭:১১ পূর্বাহ্ণ

বছরের শুরুতে স্কুলে জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতার সুযোগ নিয়ে সার্ভার বন্ধ থাকার পরও একটি চক্র অবৈধভাবে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করে। এমন ১৮টি জন্ম সনদের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ ১৭টিরই নাম ঠিকানার কোনো হদিস পায়নি। দুই বছর আগে চট্টগ্রামের তিনটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে অবৈধভাবে জন্ম নিবন্ধন দেওয়ার ঘটনায় তিনটি মামলার তদন্তে এ বিষয়টি উঠে এসেছে। খবর বিডিনিউজের।

২০২১ সালের শুরুতে চট্টগ্রাম নগরীর ১৬, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১৮টি ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ দেওয়ার ঘটনা ধরা পড়ে। যে সময় ওই সনদগুলো দেওয়া হয়েছিল, তখন সফটওয়্যার হালনাগাদের জন্য বন্ধ ছিল জন্ম নিবন্ধন সনদ দেওয়া। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের জন্ম নিবন্ধন সহকারীরা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি ও পতেঙ্গা থানায় আলাদা করে দুটিসহ মোট তিনটি মামলা করেন। এসব বিষয়ে তদন্ত করে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম শাখা। দুই বছরের তদন্ত শেষে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় তিন মামলার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই স্বপন সরকার। মামলার আসামিরা হলেনআশরাফুল আলম, নাজমুল হক আরিফ, খাইরুল ইসলাস রিপন ও খালিদ বিন ইউসুফ। তাদের মধ্যে আশরাফ ও নাজমুল হক আরিফকে গ্রেপ্তার করা গেলেও খাইরুল ও খালিদকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা স্বপন সরকার বলেন, চারজনকেই তিনটি মামলার আসামি করে আলাদা আলাদা তিনটি অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ২২, ২৪, ২৬, ৩৩ ও ৩৪ ধারায় মামলাগুলো করা হয়েছিল। যেহেতু পরস্পরের যোগসাজশে অবৈধভাবে এ জন্ম নিবন্ধগুলো তৈরি করা হয়েছে, তাই ৩৫ ধারাও যুক্ত করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।’

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই স্বপন বলেন, ১৮টি জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রত্যেকটির নাম ঠিকানা ধরে যাচাই বাছাই করেছেন তিনি। তার মধ্যে চকবাজার ওয়ার্ডে ইস্যু হওয়া একটি জন্ম নিবন্ধনের স্থায়ী ঠিকানা সঠিক পাওয়া যায়। মূলত সেটিকে ধরে তদন্ত করেই এ চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধরনিসহ ৩শ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধএবারের ডেঙ্গু কি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে?