সর্বপ্লাবী পূর্ণতায় ধ্বনিত হয়, থামো এবার
জায়গা নেই রাখবার!
সর্বগ্রাসী শূন্যতার হাহাকারও এমন…
এরচেয়ে বেশি খালি হবার উপায় থাকে না আর!
পূর্ণতার শূন্যতার মাপজোকের এক ফাঁকে
তুমি নির্ভার হলে, আমি মুক্ত।
তুমিই আমার পিতা। তোমার চেতনার ঔরসে জন্ম আমার;
কোন আদিকাল হতে আমি তোমার প্রাচীনা সন্তান।
আমি তোমার মা। তোমার সমস্ত মানস লালন করি
সহস্র বছর ধরে; এই পৃথিবীর আদিমতম সন্তান তুমি।
সারাগায়ে তোমার রক্তমাখা আমি
তোমার গা-ভর্তি আমার খুঁজে-পাওয়া মন
আমার জন্মদাগে জ্বলজ্বল করছে তোমার নাম।
আমরা হাঁটা শুরু করলাম পৃথিবীর পথে পথে…
তোমারই খোঁজে, তোমারই দিকে; তুমিও ধরলে উল্টোপথ।
তোমার পথে আমার ফেলে যাওয়া ঘোরমাখা সংলাপ
সাথে কেউ হাঁটছে? আমার মতন কেউ!
একাই হাঁটছ? আমারই মতন!
পথে পথে ছড়িয়ে রয়েছে ফোঁটা ফোঁটা প্রসব-আনন্দ!
যত্নে কুড়িয়ে নিচ্ছি, কলমজুড়ে উঠে আসছ তুমি;
রঙ লাগছে তোমার শাদা খাতায়
পূর্ণ থেকে পূর্ণতর হচ্ছি, অন্য ছাঁচে।
ধুয়ে যাচ্ছে জন্মরক্ত, কবিতার পোশাক জড়াচ্ছে গায়ে।
যতই হাঁটছি, ভ্রমণপথ জুড়ে লেখা হচ্ছে
যৌথতার জীবনী! যুগল জন্মকথা।