একটি সমাজ বা রাষ্ট্রের দিক-নির্দেশক হিসেবে কাজ করেন জনপ্রতিনিধিরা। সমাজ বা রাষ্ট্রে তাদের উল্লেখযোগ্য গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সাধারণ জনগণের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে তারা নির্বাচিত হয়।সেই দায়বদ্ধতা থেকে জনগণের কল্যাণ এবং ভাগ্য পরিবর্তনে তারা বদ্ধপরিকর।তবে অনেক সময়ই লক্ষ্য করা যায় জনপ্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্বশীলতা ভুলে যান।সমাজ কিংবা রাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত জনকল্যাণকামী দায়বদ্ধতা থেকে সরে এসে ব্যক্তিস্বার্থে কাজ করে থাকেন।এছাড়াও অনেক জনপ্রতিনিধিকে প্রকাশ্যেই নানা গর্হিত কাজে শামিল হতে দেখা যায়।সমপ্রতি রাজধানীর ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে ভুক্তভোগী নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নিজেই বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় ইরফান সেলিমসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই গাড়িচালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রকাশ্যে এমন ঘৃণ্য কাজের জন্য সারাদেশে সমালোচনার ঝড় উঠে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নিন্দা জানায় সাধারণ জনগণ। সমপ্রতি নানা কারণে অনেক জনপ্রতিনিধিই বিতর্কিত হয়েছেন।এর প্রধান কারণ হিসেবে নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়কে দায়ী করছেন অনেকে। জনপ্রতিনিধিরা রাষ্ট্র পরিচালনার শীর্ষ দায়িত্ব পালন করে থাকেন।তারা একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর অনুসরণীয়। তাদের থেকে এমন নিচু কর্মকাণ্ড সত্যিই দৃষ্টিকটু। তাই সুষ্ঠু এবং সুন্দর ভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় তাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে।পাশাপাশি জনগণের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে হতে হবে মানবিক ও আন্তরিক।
মামুন হোসেন আগুন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।