আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার পুরাতন রেলওয়ে চত্বর থেকে আনন্দ র্যালি বের করা হয়। র্যালির আগে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর ১৫টি থানা ও ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ব্যানার ফেসটুন, বাদ্য–বাজনাসহ সমাবেশ ও আনন্দ র্যালিতে যোগদান করেন। র্যালিটি পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এসে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
এর আগে সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অপর্ণ করা হয়। র্যালি পূর্ব সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগের ৭৪ বছরের ইতিহাস ত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস এবং এদেশের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক সাধিকার আন্দোলনসহ সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াইগুলোতে আওয়ামী লীগই নেতৃত্ব দিয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আওয়ামী লীগ শুধু বাঙালি জাতিসত্তার নয়, সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের আবেগ অনুভূতির নাম। আওয়ামী লীগ জন্ম থেকে সাধারণ মানুষের সাথেই ছিল এবং জনগণই তার ক্ষমতার উৎস। ১৯৭১ সালে এটা প্রমাণিত হয়েছে। ঐ সময় সমগ্র বাঙালি বঙ্গবন্ধুর পেছনে ঐক্যবদ্ধ ছিল বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, স্বাধীন হতে পেরেছে। এখনও যদি আমরা দলীয় ঐক্যের সুদৃঢ় ভিত্তিকে শক্তিশালী করে সমগ্র জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি তাহলে শেখ হাসিনা অবশ্যই ধারাবাহিকভাবে ৪র্থ বারের মত প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসবেন এবং পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই শেখ হাসিনা ও নৌকার বিজয়কে ঠেকাতে পারে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, অ্যাড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মসিউর রহমান চৌধুরী। সভায় আওয়ামী লীগের জন্ম থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শামসুল হকসহ যেসকল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী শহীদ ও প্রয়াত হয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মো. হোসেন।