অন্তর্র্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম বীর প্রতীক বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সকলের সুচিকিৎসা ও নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসন নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। আন্দোলনের সব দলিল রচনা করা হচ্ছে, পুরো আন্দোলনকে আর্কাইভ করা হবে। বিগত স্বৈরশাসক পুলিশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। এখন অনেক জায়গায় জনগণ পুলিশকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকুক।
গতকাল সোমবার নগরীর দামপাড়া বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আশা করেন, আহত পুলিশ সদস্যরা দ্রুত সুস্থ হয়ে জনগণের সেবায় মনোনিবেশ করবেন। পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণের কথাও জানান ফারুক ই আজম বীর প্রতীক।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) মো. আব্দুল ওয়ারীশ প্রমুখ।
এর আগে গত রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান ফারুক–ই–আজম বীরপ্রতীক। এসময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সমন্বয়ক ওমর ফারুক সাগরসহ অন্যান্যদের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের শারীরিক খোঁজ খবর নেন। চমেক হাসপাতালে পরিদর্শনকালে ফারুক ই আজম বলেন, আমি আহতদের চিকিৎসা সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছি। আহতরা সবাই চিকিৎসা নিয়ে সন্তুষ্ট এবং ধীরে ধীরে তাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। আশা করছি, তারা সবাই সুস্থ হয়ে উঠবেন। আহত নিহতদের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে আহতরা চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে উঠুক। যারা নিহত হয়েছেন আমরা তাদের ব্যাপারে যথাযথ মর্যাদায় দেখব। একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার অন্যতম সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ও মো. রাসেল মাহমুদ।