এটি সর্বজনস্বীকৃত, রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয়টি সুদূর প্রাচীনকাল থেকেই পরিশুদ্ধ সমাজ বিনির্মাণে চলমান সক্রিয়তায় পরিপুষ্ট। খ্রীষ্টপূর্ব ২৪০০ বৎসর পূর্বে হেরোডেটাস কর্তৃক প্রণীত গণতন্ত্রের ধারণাকে এখনও স্বাভাবিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার মৌলিক কাঠামোর অতি নিকটতর মনে করা হয়। সামগ্রিক অর্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বহু পূর্ব থেকেই অভিজাত শ্রেণীর প্রতিনিধিরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও সংখ্যালঘিষ্ঠতার বিভাজনে সংসদীয় শাসন পরিচালনা করত। এই সংসদীয় কাঠামো বজায় রেখে ইংল্যান্ডে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় অনেক পরে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পরেও বহুকাল ইংল্যান্ড ও আমেরিকায় নারীদের ভোটাধিকার ছিল না। আধুনিককালে প্রাপ্ত বয়স্কদের ভোটাধিকার প্রয়োগে নির্বাচিত ব্যক্তিবর্গের আইন পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করার মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার যে ব্যবস্থা, তাকেই বর্তমানে গণতন্ত্রের মূল প্রত্যয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর লাস্কির ভাষায় ‘কোন রাষ্ট্র পরিচালিত হয় সে রাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রদত্ত অধিকার দ্বারা’ এবং গণতন্ত্রকে যথার্থ মর্যাদায় আসীন রাখতে পারে জনগণের সঠিক চেতনা ও সতর্ক পাহারা।
আধুনিক গণতন্ত্র বিকাশের অগ্রসরমানতায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর স্বাধীনতা ও মুক্তি তথা মানবজাতির মুক্তির সনদ হিসেবে জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ২১তম অনুচ্ছেদের ৩নং ধারা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ‘সরকারের কর্তৃত্বের ভিত্তি হবে জনগণের ইচ্ছা যা নির্দিষ্ট সময় অন্তর সর্বজনীন ও সমান ভোটাধিকার প্রয়োগে গোপন ভোটের মাধ্যমে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান অর্থাৎ জনগণের ইচ্ছার প্রকৃত প্রতিফলন।’ জাতিসংঘ ঘোষিত এ নীতিমালা গণতান্ত্রিক ধারাকে সমগ্র বিশ্বে কালক্রমে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। অনুচ্ছেদের ১নং ধারা অনুসারে বিশ্বের প্রত্যেক ব্যক্তিই স্বাধীনভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে দেশের শাসনকার্য পরিচালনায় অংশগ্রহণের অধিকার অর্জনে সক্ষম হয়েছে। যথার্থ অর্থে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠার সমুজ্জ্বল গতি–প্রকৃতির অবগাহনে গণতন্ত্র শুধু যে সরকার গঠন সম্পর্কিত বিষয় তা কিন্তু নয়। আধুনিক গণতন্ত্রের বিজ্ঞতাত্ত্বিক লিন্ডসের ভাষায়, গণতন্ত্র একটি সামাজিক প্রক্রিয়াও বটে। এটি মূলতঃ কতগুলো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও সামাজিক মূল্যবোধের সমন্বিত পরিচর্যা–প্রতিফলন–রোডম্যাপ স্বরূপে বিবেচ্য।
গণতন্ত্রের প্রাথমিক মূল্যবোধ হচ্ছে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ অর্থাৎ ব্যক্তির মৌলিক স্বাধীনতা তথা চিন্তা–বাক–সংগঠন–ভোটপ্রদান–দলগঠন এবং অংশগ্রহণ–প্রার্থী–নির্বাচনে অংশগ্রহণ–স্বেচ্ছায় নির্বাচন গ্রহণ–বর্জনসহ অভিযোগ উত্থাপনের সমূহ স্বাধীনতা। সার্বিকভাবে জীবনধারণ–পরিবার গঠন–নিরাপত্তা–আইনের আশ্রয়–স্বাধীন মতামত প্রকাশ–নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা বিরোধিতার অধিকার সকল কিছুকেই অন্তর্ভূক্ত করার মধ্যেই গণতন্ত্রের গতিশীলতা–শক্তিমানতার বহির্প্রকাশ। গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় ব্যক্তিত্বের উন্মেষ অধ্যায় তৈরির সাথে অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ হচ্ছে নির্ভরযোগ্য সহনশীলতা, অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতকে সাদরে গ্রহণ করার মানসিকতা। যেকোন সামাজিক প্রক্রিয়ায় ব্যক্তির স্বাভাবিক ব্যক্তিত্ব ও সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশমানতার একমাত্র আশ্রয়স্থল হচ্ছে বিশ্বাস–আস্থাশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ। গণতান্ত্রিক পাঠ্যক্রমের মূখ্য শিক্ষাই হচ্ছে নিজের ইচ্ছার সাথে অন্যের ইচ্ছার সমন্বয় ঘটানো বা অধিকাংশের ইচ্ছা বা আগ্রহকে যৌক্তিকভাবে নিজের বা ব্যক্তির সদিচ্ছার সন্নিবেশন।
আপামর জনগণের সামষ্টিক চিন্তা–চেতনার প্রতিফলনে বিধিবদ্ধ প্রক্রিয়ায় অবাধ–সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি দ্বারা পরিচালিত রাষ্ট্র ব্যবস্থাই গণতন্ত্রের প্রকৃষ্ট পরিচায়ক। মূলতঃ সকল দল–মতের সম্মিলিত অংশগ্রহণ–সমর্থনে নেতৃত্ব বাছাই এবং সঠিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে সরকার গঠন ও রাষ্ট্র পরিচালনা গণতন্ত্রকে নিরন্তর বিকশিত করে। নির্বাচন বয়কট বা বিসর্জনের মধ্যে নয় বরং জনগণের হৃদয় জয় করার দৃশ্যমান পদক্ষেপ অনুসরণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে গণতন্ত্রকে অর্থবহ করা একান্তই জরুরি। অবশ্যই রাষ্ট্র কর্তৃক নির্ধারিত পবিত্র সাংবিধানিক পন্থায় গঠিত নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা–সত্যনিষ্ঠতা–পক্ষপাতমুক্ত স্বাধীন আদর্শিক দৃঢ়চেতা অভিপ্রায় নিশ্চিত করা আবশ্যক। নির্বাচন কমিশনের সার্থক সবলতায় আনুষঙ্গিক দুর্বলতাগুলোকে সংহার করে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে পরিশুদ্ধ নির্বাচন উপহার গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে অধিকতর পরিপূর্ণ করে।
বিগত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। নির্বাচন উপলক্ষে দেশি–বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ–আলাপচারিতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ‘এ জয় আমার নয়, এ জয় জনগণের। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার নিজেরা প্রয়োগ করেছে। তাদের দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল নির্বাচন যে নিরপেক্ষ হতে পারে সে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছি আমরা। দেশের গণতন্ত্রের জন্য এ নির্বাচন একটি যুগান্তকারী ঘটনা। নির্বাচনে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। প্রার্থী বাছাইয়ের পাশাপাশি মাঠ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে নির্বাচনে। নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা হয়েছে।’ তিনি বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের আগমনে আমাদের দেশের গণতন্ত্র আরও সুসংগঠিত হবে।’ এছাড়াও ভোট পরবর্তী আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ৭ জানুয়ারিকে গণতন্ত্রের বিজয়ের দিন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে বেশি যাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ, তাঁরা হলেন বাংলাদেশের জনগণ। জনগণের অংশগ্রহণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো যে নির্বাচন বর্জন করেছে সে নির্বাচনে ভোটাররাই তাদের বর্জন করেছে।’
আওয়ামী লীগের অভাবনীয় এই বিজয়ে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ভারত, চীন, রাশিয়া, জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, রিপাবলিক অব কোরিয়া, ব্রুনেই দারুসসালাম, মালয়েশিয়া, মিশর, আলজেরিয়া, কুয়েত, লিবিয়া, ইরাক, ইরান, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। অভিনন্দন বার্তায় সংশ্লিষ্ট দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে বলে আশাবাদ এবং বাংলাদেশের সঙ্গে নিজ নিজ দেশের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ৯ জানুয়ারি কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কেসি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ের জন্য আমার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন। জাতীয় অগ্রাধিকার অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের জন্য কমনওয়েলথ প্রস্তুত। বাংলাদেশের জনগণ এবং আমাদের কমনওয়েলথ পরিবারের সদস্যদের জন্য কমনওয়েলথ আপনার সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, রাশিয়া, ওআইসি, আরব পার্লামেন্টসহ আরো কয়েকটি দেশ–সংস্থার পর্যবেক্ষকরা ভোট পর্যবেক্ষণ শেষে তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় ভোট অবাধ–সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের প্রশংসার পাশাপাশি ভোটের পদ্ধতিকে অন্য দেশের জন্য অনুসরণীয় বলেও মতামত দিয়েছেন। রাশিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের প্রধানের মতে, ‘নির্বাচনে দীর্ঘ ইতিহাসের কারণে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া স্থিতিশীলভাবে অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ভিত্তি রয়েছে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ গাম্বিয়ার পর্যবেক্ষক দল জানান, ‘এবারের নির্বাচন উন্মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক ছিল। এখানে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এখনো রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একে সময় দেওয়া উচিত। যারা বাংলাদেশকে স্থিতিশীল দেখতে চায় না, তারাই এ দেশের নির্বাচন নিয়ে নানা সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সমালোচনা করে। স্বাধীন একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। জাতীয় স্বার্থে বাংলদেশের নিজের মন মতো চলার পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বমানের ভোটকেন্দ্রে বাংলাদেশের মতো ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য জিনিস ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সেই কারণে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ গর্ব করতেই পারে।’ আরেক পর্যবেক্ষক আরব পার্লামেন্ট সদস্য আবদিহাকিম মোয়ালিয়াম আহমেদ’র মতানুসারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক চর্চায় ইতিহাস গড়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার টানা তিন দফায় পরিচালিত সরকারের প্রায় সকল সূচকে উন্নয়নে অভূতপূর্ব অর্জন শুধু দেশে নয় বিশ্বপরিমন্ডলেও উচুমাত্রিকতায় সমাদৃত। তাঁর দৃঢ় নেতৃত্ব–সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও প্রজ্ঞার অপূর্ব সম্মিলনে দেশের সামগ্রিক আর্থ–সামাজিক ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের প্রসার ঘটিয়েছেন। গণতন্ত্রের মানসকন্যা উপাধিতে ভূষিত বিশ্বশান্তির অগ্রদূত শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক–মানবিক–গণতান্ত্রিক সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অবিরাম সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। এই ধরিত্রীর বুকে সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা লালসবুজ পতাকা খচিত স্বাধীন–সার্বভৌম বাংলাদেশের মূল শক্তি এদেশের আপামর জনগণ। গত ১৫ বছর ধরে জনগণের অকুন্ঠ সমর্থন ও বিপুল ভোটে বিজয়ী আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধু তনয়ার কঠোর পরিশ্রম এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এদেশে গণতন্ত্র চর্চার ধারা অটুট রেখেছে। বলিষ্ঠচিত্তে নির্ভীক স্বাধীনসত্তায় আত্মপ্রত্যয়ী–দূরদর্শী–দৃঢ়চেতা নেত্রী তথাকথিত উন্নত রাষ্ট্রের শাসক–শোষকগোষ্ঠীর অনৈতিক প্রভাব ও অপপ্রচারণা এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সকল অশুভ চক্রান্ত–প্ররোচনাকে উপেক্ষা করে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে প্রতিস্থাপন করতে যথার্থ অর্থে সফল ও সার্থক।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনায় শতভাগ ঋদ্ধ দেশের ঐক্যবদ্ধ জনগণ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। অসৎ–অযোগ্য–অদক্ষ–দলবদলে পারদর্শী–প্রতারণা–ছলচাতুরীতে বিভিন্ন পদ–পদক–পদায়ন দখলে সিদ্ধহস্ত ইতিমধ্যে চেনা মুখগুলোকে অপাংক্তেয়–দেশ ও দলের জন্য ক্ষতিকর ব্যক্তি হিসেবে সম্পূর্ণ পরিত্যাজ্য করতে হবে। পরীক্ষিত ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধ্বে–দেশপ্রেমিক–আদর্শ ও সততার মাপকাঠিতে যোগ্য ব্যক্তিদের যথাযথ মূল্যায়ন–সম্পৃক্ত করে দেশের অগ্রযাত্রাকে সঠিক পন্থায় পরিচালিত করাই হবে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সরকারের সর্বোচ্চ প্রাধান্যের রসায়নে প্রণিধানযোগ্য উদ্দেশ্য।
লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়