ছয় মাসে খাদ্য কেনায় ব্যয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ২ শতাংশ : সানেম

| বৃহস্পতিবার , ৩০ মার্চ, ২০২৩ at ৫:২২ পূর্বাহ্ণ

ছয় মাসের ব্যবধানে খাদ্য কিনতে খরচ বেড়েছে ১৭ দশমিক ২ শতাংশ। শহরাঞ্চলে এই খরচ ১৯ শতাংশ এবং পল্লী অঞ্চলে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ‘কেমন আছে নিম্ন আয়ের মানুষ? শীর্ষক জরিপের তথ্য উপস্থাপন ও বিশ্লেষণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান। সানেমের জরিপ বলছে, গত ছয় মাসে একটি পরিবারের খরচ বা ব্যয় বেড়েছে ১৩ দশমিক ১ শতাংশ। গ্রাম এলাকায় এটি ১২ দশমিক ৪ শতাংশ এবং শহর এলাকায় ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ। খবর বাংলানিউজের।

জরিপ ফলাফল উপস্থাপন করে সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, ব্যয় বাড়ার বিষয়টি কীভাবে মোকাবিলা করছেন এমন প্রশ্ন রাখা হয় সাধারণ মানুষের কাছে। জবাবে ৯০ দশমিক ২ শতাংশ বলেছে, তারা তাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনেছে। ধার করে চলছে ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ৫৫ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ বলেছে তারা ননফুড আইটেমের খরচ কমিয়ে এনেছে। সঞ্চয় করার সুযোগ কমিয়ে এনেছে ৫৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ওভারটাইম কাজ করছে ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ। ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ তাদের সঞ্চয় যা ছিল, তা থেকে অতিরিক্ত খরচ করছে। তিনি বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের সঞ্চয়ের সুযোগ এমনিতেই কম। তার ওপর তাদের এ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিতে। অন্যদিকে, শহর ও গ্রামের মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় খাদ্য পরিবর্তন করেছে ৯৪ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ। গ্রামে তা ৮৬ শতাংশ। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ধার করে চলছে শহরের ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামের ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ।

সানেম বলছে, বৈশ্বিক ও জাতীয় বিভিন্ন দিক দিয়ে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করতে গিয়ে বিভিন্ন বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এ চ্যালেঞ্জ আরও বেশি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে ব্যয় বৃদ্ধি, যাতায়াতের বাড়তি খরচ ইত্যাদি বিষয় নিম্নআয়ের মানুষদের কষ্ট বাড়িয়েছে। এমন অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কম আয়ের পরিবার নানা উপায় অবলম্বন করছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৩ প্রকল্পে জাইকার ১২৭ কোটি ডলার ঋণ নিতে চুক্তি সই
পরবর্তী নিবন্ধনির্ধারিত সময়ের মধ্যে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শেষ চান মেয়র