পবিত্র ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ নয়দিনের ছুটি শেষে গতকাল খুলেছে অফিস–আদালত। সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কর্ম ব্যস্ততায় ফিরেছে। তবে ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছেন সবাই। ঈদের ছুটির পর অফিসে এসে কর্মকর্তা–কর্মচারীরা একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। নিয়েছেন ঈদ উদযাপনের খবরাখবরও।
গতকাল সিআরবি এবং বিআরটিএসহ কয়েকটি সরকারি অফিস এবং বেসরকারি একাধিক অফিসে সরজমিনে পরিদর্শন এবং খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, অফিসে উপস্থিতি ভালোই ছিল। তবে ঈদের নির্ধারিত ছুটির পাশাপাশি দূর–দূরান্তের অনেকেই অতিরিক্ত ছুটি নেওয়ায় উপস্থিতি স্বাভাবিকের চেয়ে কম দেখা গেছে। অনেককে দেরি করেও অফিসে আসতে দেখা গেছে। অফিসে এসে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন কোলাকুলি এবং খোশগল্পে। ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে অফিসগুলোতে সেবাগ্রহীতার উপস্থিতিও ছিল কম। গত ৩১ মার্চ দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। তবে সরকারি ছুটির তালিকা আগেই নির্ধারণ করা ছিল। উপদেষ্টা পরিষদ গত বছরের ১৭ অক্টোবর ঈদুল ফিতরে পাঁচদিন ছুটির অনুমোদন দেয়। আগে এ ছুটি ছিল ৩ দিন। এরপর ২১ অক্টোবর ছুটির বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতরের দিন সাধারণ ছুটি। ঈদের আগের দুই দিন ২৯ ও ৩০ মার্চ (শনি ও রোববার) এবং ঈদের পরের দুই দিন ১ ও ২ এপ্রিল (মঙ্গলবার ও বুধবার) নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ছিল। ২৮ মার্চ (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটি।
অপরদিকে, ৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করায় সরকারি চাকরিজীবীরা এবার টানা ৯ দিন ছুটি ভোগ করেন। কারণ ৩ এপ্রিলের পরের দুই দিন ছিল ৪ ও ৫ এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক বন্ধ।