কক্সবাজারের চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীরা ধারাল অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে ওষুধ কোম্পানীতে কর্মরত এক বিক্রয় প্রতিনিধিকে। মাত্র ১৭ হাজার টাকা ছিনতাই করতে গিয়ে এই কাণ্ড ঘটায় ছিনতাইকারীর দল। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাউন্ডারির ভেতরই এই ছিনতাই পরবর্তী জবাই করে হত্যার ঘটনাটি ঘটে। তবে ঘটনার সময় থাকা এক মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ প্রাণে বেঁচে গেছেন। তাকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গতরাত বারোটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খুনের শিকার বিক্রয় প্রতিনিধির পূর্ণাঙ্গ পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে সরবরাহকৃত তথ্যানুযায়ী নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ এরশাদ (৩২)। তাঁর বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গায় বলা হলেও বাবার নামসহ প্রকৃত ঠিকানা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে ঘটনাস্থ্থলের চারিদিকে পুলিশ ঘিরে রেখেছে সিআইডির ক্রাইম সিন দলের অপেক্ষায়। আর সেখানে উৎসুক মানুষও ভিড় করতে দেখা যায়। চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল জব্বার জানান, নিহত ব্যক্তি হেলথ কেয়ার নামক একটি ওষুধ কোম্পানিতে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই কোম্পানির মেডিক্যাল প্রতিনিধি (এমআর) আশিক বিল্লাহ সুমনও হত্যাকাণ্ডস্থলে ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের ছনধরা গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান– আশিক বিল্লাহর ভাষ্যানুযায়ী হত্যাকাণ্ডস্থলে তারা দুইজন টাকা গুনছিলেন। সেই মুহূর্তে তিন জনের একটি ছিনতাইকারীর দল ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকাগুলো ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ছিনতাইকারীরা বিক্রয় প্রতিনিধি এরশাদকে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। এ সময় আশিক বিল্লাহর শরীরের একাধিক স্থানেও জখম দেখা যায়। তাই প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য আশিক বিল্লাহকেও পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।