ছাত্রলীগে গতি আনতে নতুন কমিটির ১০ নির্দেশনা

| সোমবার , ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৮:০৩ পূর্বাহ্ণ

 

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠন পরিচালনা ও কার্যক্রমে গতি আনতে সব স্তরের নেতাকর্মীদের ১০ নির্দেশনা দিয়েছে নতুন কমিটি। গতকাল সন্ধ্যায় সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত ২০ ডিসেম্বর সাদ্দাম ও ইনানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। খবর বিডিনিউজের।

নির্দেশনাগুলো হলো : . সংগঠনের ব্যানার, পোস্টার ও অন্যান্য ক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কোনো ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

. জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সম্মেলন ছাড়া সেগুলোর অধীনের কোনো ইউনিটের কমিটি গঠন করা যাবে না। যেসব ইউনিটের কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ হয়নি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেগুলো কেন্দ্র/সংশ্লিষ্ট ইউনিটে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে হবে। গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত সংখ্যার অধিক সদস্য নিয়ে কোনো ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা যাবে না।

. গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত সময়ে প্রতিটি ইউনিটকে অবশ্যই নিয়মিত নির্বাহী সভা আয়োজন করতে হবে।

. সংশ্লিষ্ট ইউনিটের নেতাদের অবশ্যই নিজ নিজ ইউনিটে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকতে হবে এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে উত্তরোত্তর গতিশীলতা আনতে নানামুখী উদ্যোগ নিতে হবে।

. সব স্তরের নেতাকর্মীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড প্রচার করতে হবে; দেশবিরোধী সব অপচেষ্টা, গুজবপ্রোপাগান্ডার ‘সমুচিত’ জবাব দিতে হবে।

. বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসাসহ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশ বজায় রেখে সাংগঠনিক কর্মসূচি পরিচালনা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়ের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা

পালন করতে হবে।

. স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ‘স্মার্ট ক্যাম্পাসে’ রূপ দিতে ও শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী উপায়ে দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক কর্মসূচি নিতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

. স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, মৌলবাদজঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্টরা যেন নামেবেনামে শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে না পারে সে লক্ষ্যে উপযুক্ত সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও সাহিত্য কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে।

. শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করতে নানামুখী উৎসব, প্রতিযোগিতা, সেমিনার, কর্মশালা, প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্যোগ নিতে হবে।

১০. জলবায়ু পরিবর্তজনিত সংকট মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণ, বায়ুপানিমাটিপরিবেশশব্দদূষণ রোধে ভূমিকা রাখা; অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ, জ্বালানি সাশ্রয়ে বিদ্যুৎপানিগ্যাসতেলের ব্যবহারে যত্নশীল হওয়া; বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সাংগঠনিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে মিতব্যয়ী হওয়াসহ ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিটি ইউনিট শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআওয়ামী লীগের প্রচেষ্টায় মানুষের ভাগ্য ফিরে এসেছে : প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধউৎসবে সব বই পাওয়া নিয়ে শঙ্কা