ছাত্রলীগকে গণধোলাই দিয়ে থানায় সোপর্দ করতে বলা চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি আহসান হাবিব খানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অপেশাদার বক্তব্যের জন্য দায়িত্ব নেওয়ার ১০ দিনের মাথায় তাকে প্রত্যাহার করা হল।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। পুলিশ পরিদর্শক মো. জাহেদুল ইসলামকে নতুন ওসি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
গত ১৬ নভেম্বর দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি হিসেবে যোগদান করেছিলেন আহসান হাবিব।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (ডিবি) রাসেল বলেন, ‘প্রশাসনিক কারণে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসিকে বদলি করে নতুন ওসি পদায়ন করা হয়েছে।’ তবে বক্তব্যের কারণে প্রত্যাহার কিনা সেটি তিনি স্বীকার করেননি।
এর আগে গত রোববার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগকে গণধোলাই দিয়ে থানায় সোপর্দের আহ্বান জানান চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি আহসান হাবিব খান। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওসির এমন রাজনৈতিক বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়। এটিকে অপেশাদার আচরণ বলছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সভার ভিডিওতে ওসি আহসান হাবিবকে বলতে শোনা যায়, ‘বিশেষ করে একটি কথা বলতে চাই, যারা ৫ আগস্টের আগে বিভিন্ন মানুষের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে, মারপিট করছে তাদের দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার মধ্যে গণধোলাই দিয়া থানায় নিয়া আসবেন। বিশেষ করে ছাত্রলীগ ঠাঁই পাবে না। আপনাদের এই পর্যায়ে যদি আওয়ামী লীগ থাকতো আপনাদের ঠ্যাং-ঠোং (হাত-পা) ল্যাংরা হয়ে যেতো।’
ওসি তার বক্তব্যে বলেন, ‘৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মূল মাস্টারমাইন্ড আমাদের আদর্শ তারেক রহমান। তার নির্দেশে ঢাকাকে ছয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। এই ছয় সেক্টরের লোকজনই নতুন করে স্বাধীন করেছে।’ এছাড়াও নানা রাজনৈতিক বক্তব্য দেন তিনি। বক্তব্য প্রসঙ্গে সোমবার রাতে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি আহসান হাবিব খান বলেন, ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়ে গেছে। আমি বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। বিষয়টি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।’