নগরীর বাকলিয়া থানাধীন রাহাত্তারপুল এলাকায় ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারধর করে তুলে নিয়ে একটি দোকানে বন্দি করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী শাকিল আরিফ বাকলিয়া থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক এবং নবগঠিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক। গুরুতর আহত অবস্থায় আরিফকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ছাত্রলীগের অপর একটি গ্রুপ আরিফের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। মারধর করতে করতে তাকে টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যায় ব্লুমিং পার্ক কমিউনিটি সেন্টার এলাকায়। সেখানে তাকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। স্থানীয়রা পুলিশের সহায়তায় দ্রুত আরিফকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে বাকলিয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো. আবদুর রহিম আজাদীকে জানান, ছাত্রলীগ নেতা আরিফের সাথে স্থানীয় ছাত্রলীগের একটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এদের এক পক্ষ বাকলিয়া কলেজে গাঁজা খাওয়ার সময় প্রিন্সিপ্যাল দেখে ফেলেছিল। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এটার পাশাপাশি মোবাইল নিয়েও তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। যা সোমবার সন্ধ্যায় মারামারিতে গড়াই। দুই পক্ষই অভিযোগ দিলে মামলা নিবো। ভুক্তভোগী শাকিল আরিফ আজাদীকে জানান, মোবাইলের ঘটনাকে ইস্যু বানিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মনির,
এম মহিমিনুন, এস এম ইনজামাম আরিফ, আরফাতুল্লাহ নিজাম, আবরার, জিসান ও ইসমাম হঠাৎ এসে আমার উপর হামলা চালিয়ে আমাকে তুলে নিয়ে যায়। ব্লুমিং পার্ক কমিউনিটি সেন্টারের পাশে একটি দোকানে বন্দি করে রাখে। স্থানীয় লোকজন এবং বাকলিয়ার থানার এসআই রুহুল আমিন, মমতাজ এবং রনতোষ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে। হামলায় আমার হাত ভেঙে গেছে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমি এখন মামলা করতে যাচ্ছি।