ক্লাস করায় সহপাঠীকে মারধরের ঘটনায় জাবেদুল ইসলাম নামে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগের সেই নেতাকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। গতকাল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক এ ব্যবস্থা নেয়া হয়। চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তার আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, বুধবার বিকেলে চট্টেশ্বরী সড়কে অবস্থিত চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে ইশতিয়াকুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ নেতা জাবেদুল ইসলাম মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ মারধরের শিকার ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে। জাবেদুল ইসলাম সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জাবেদ ও ইশতিয়াকুর রহমান দুজনই এমবিবিএস ৬৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী। ব্যাচের বেশ কিছু শিক্ষার্থী রমজানে কলেজের ক্লাস বর্জন করতে বলার পরও ইশতিয়াকুর ক্লাস করতে যায়। এ ঘটনায় ইশতিয়াকুরকে বুধবার বিকেলে ছাত্রাবাসে মারধর করা হয়। এ ঘটনার বিচার চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করে ইশতিয়াক।
অভিযোগ পাওয়ার পর বুধবারই জাবেদুল ইসলামকে ছাত্রাবাস থেকে বের করে দেয়া হয়। আর বৃহস্পতিবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করে চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তার আজাদীকে বলেন, ওই ব্যাচের একদল শিক্ষার্থী রমজানে আর ক্লাস না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্লাস করা থেকে বিরত থাকে। কিন্তু কলেজ এখনো ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। ক্লাসও চলমান আছে। ইশতিয়াকুর ক্লাস করায় তারই ব্যাচের একজন হোস্টেলে তার ওপর চড়াও হয়। তাকে থাপ্পড় দেয় বলে আমরা অভিযোগ পাই। এর ভিত্তিতে অভিযুক্ত জাবেদুলকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। আর অন্যদের (যারা ক্লাস করছে না) সতর্ক করার পাশাপাশি আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। আগামী সোমবারের মধ্যে ক্লাসে যোগ না দিলে পরবর্তী পরীক্ষায় তাদের অংশ নিতে দেয়া হবে না। এর ফলে তারা শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অন্তত ৬ মাসের জন্য পিছিয়ে যাবে।
রমজান ও ঈদের ছুটি উপলক্ষে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে কলেজের শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তার।