শত শত ছাত্র জনতার প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ আবার নতুন করে স্বাধীন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। এর মধ্য দিয়ে দেশ ‘রাহুমুক্ত’ হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের আপামর ছাত্র জনতা অসাধ্য সাধন করেছেন। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছেন। অভূতপূর্ব এক জনবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। গত ১৬ বছরের প্রচণ্ড বাড়াবাড়ির কারণে দেশের ছাত্র জনতার মধ্যে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, এ জনবিস্ফোরণ তারই বহিঃপ্রকাশ। এ গণঅভ্যুত্থান আবারও প্রমাণ করল জনগণের শক্তির কাছে কোনো স্বৈরশাসকই টিকে থাকতে পারে না।
গতকাল বিকেলে নগরের নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। সঞ্চালনা করেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।
মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আমাদের ছাত্র জনতাসহ চট্টগ্রামবাসীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, এ দেশ আমাদের সবার। ইতোমধ্যেই অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনার জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ খুবই প্রয়োজন। এখন সবাইকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিাতির অবনতি হয় এমন কোনো কাজ কাউকে করতে দেয়া যাবে না। সংখ্যালঘু সমপ্রদায়সহ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য।
ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, আজ ছাত্র জনতার গণবিস্ফোরণের কারণে আমাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে। সেই বিজয়কে দীর্ঘায়িত করার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় সামাজিক নিরাপত্তাবলয় তৈরি করতে হবে। আমাদের পাশে যারা সংখ্যালঘু রয়েছেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশটা আমাদের সবার। এ দেশ আমাদেরই গড়তে হবে। কেউ যেন কোনো নির্যাতন নিপীড়নের শিকার না হন। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ গণমাধ্যমকর্মীর ওপর যে কোনো ধরনের আঘাত প্রতিরোধ করতে হবে। যে কোনো অপপ্রচার ও অপচেষ্টার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামবাসীকে সচেতন থাকতে হবে।
এরশাদ উল্লাহ বলেন, নতুন সরকারের কাছে আমাদের সব নেতা কর্মীর মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
নাজিমুর রহমান বলেন, কাউকে কোনো ধরনের হঠকারী কাজ করতে দেয়া যাবে না। এ সময় বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও চট্টগ্রামবাসীকে শান্ত থাকতে হবে।
এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস কে খোদা তোতন, হারুন জামান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, কাজী বেলাল উদ্দিন, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক নুরুল হক, সদস্য সচিব এড. আবদুল আজিজ।