এটা কোন দেশের রীতি? ছাত্র ছাত্রীরা কেন প্রশাসনের কাজ হাতে তুলে নেবে? তারা নিজেদের মেধাবী বলে দাবী করে। তবে এই মেধা গড়তে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকাই ছিল বেশি। পিতা মাতার পরেই এই শিক্ষকদের স্থান। শিক্ষাগুরুর প্রতি ছাত্র ছাত্রীদের এই অধঃপতন আসলে মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। শিক্ষাগুরুর পায়ের নিচে ছাত্রছাত্রীদের স্থান। কিন্ত একি দেখছি। শিক্ষকের গায়ে হাত দিয়ে জুতার মালা পরানো হচ্ছে, শিক্ষককে মারধর করানো হচ্ছে। এরাই কি আগামীর ভবিষ্যৎ? এই বিশৃঙ্খলা রোধ করার জন্য কি দেশে ন্যূনতম কোনো আইন কানুন নেই? আমরা জানি পৃথিবীতে শিক্ষকের সম্মান সবার উর্ধ্বে। আশা করি দেশের প্রশাসন শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করতে চাইলে সসম্মানে করুন।
আর ছাত্র ছাত্রীদের এই ঔদ্ধত্য আচরণ থেকে শিক্ষকদের সম্মান বাঁচান। একজন শিক্ষকের সম্মান মানে গোটা জাতির সম্মান।
‘শিক্ষকের মর্যাদা’ কবিতায় কাজী কাদের নেওয়াজ লিখেছিলেন, ‘আজি হতে হোক চির উন্নত মম শিক্ষাগুরুর শির’। তবে ছাত্র ছাত্রীরা বর্তমান শিক্ষক নিয়ে যা যা করছে দেশের স্বার্থে এগুলো রোধ করার জন্য বর্তমান প্রশাসন উপদেষ্টা মণ্ডলীর কাছে বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি।
করুণা আচার্য
চট্টগ্রাম।