বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া সহপাঠী পরীক্ষায় বসায় পরীক্ষা বর্জন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বাংলা বিভাগের ৫৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার সকালে প্রথম বর্ষের ১০১ নম্বর কোর্সের পরীক্ষা বর্জন করে বিভাগের সভাপতির কক্ষের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। পরে পরীক্ষাটি স্থগিত করেন কর্তৃপক্ষ। এসময় আন্দোলনের বিরুদ্ধে থাকা ওই ছাত্রী পরীক্ষায় বসলে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা না দেয়ার ঘোষণা দেয়। এর আগে শিক্ষার্থীরা প্রক্টর বরাবর গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করে। অপরদিকে রোববার দুপুর একটায় চবি কলা অনুষদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (২০২০–২১ সেশন) শিক্ষার্থীরা সহপাঠীদের সর্বসম্মতিক্রমে ছয় ছাত্রলীগ কর্মীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কারের দাবি জানান। আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান করা ওই ছাত্রলীগ কর্মীদের সাথে ক্লাস না করার ঘোষণাও দেন শিক্ষার্থীরা।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন উস্কানিমূলক পোস্ট করেছিলো বাংলা বিভাগের ওই ছাত্রী। যার ফলে ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাকে সেসময় বয়কট করেছিলো। এছাড়া ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে ব্যাচের বাকিরা পরীক্ষায় বসবে না বলেও বিভাগকে অবগত করেছিলো। তবে পরবর্তীতে বিভাগের শিক্ষকদের অনুরোধে ওই ছাত্রীর ক্ষমা চাওয়া সাপেক্ষে পরীক্ষায় বসতে দিতে সম্মত হয় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ওই ছাত্রী ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানালে ব্যাচের বাকি শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই তার সাথে একইসাথে পরীক্ষায় বসতে রাজি হয়নি। যার ফলে এদিনের ১০১ নম্বর কোর্সের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে বিভাগ কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. তাসলিমা বেগম বলেন, পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত পরীক্ষার নতুন তারিখ এবং ওই ছাত্রীর পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আগামী মঙ্গলবার বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির মিটিং দিয়েছি। সেখানে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো।