হাটহাজারীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সায়েমকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেছে দৈনিক আজাদী। গত সোমবার আজাদীতে ‘ওর চিকিৎসা কীভাবে চালাব এই চিন্তায় ঘুমাতে পারি না : টাকার অভাবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সায়েমের চিকিৎসা হচ্ছে না, আছেন বাড়িতে’ শিরোনাম সংবাদ প্রকাশিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আজাদীর পক্ষ থেকে তাকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আহত সায়েমের ৮ নং মেখল ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বুদা গাজীর বাড়িতে যান আজাদীর হাটহাজারী প্রতিনিধি। তিনি সায়েমের পিতা মো. সিরাজ ও মাতা রাশেদা আকতারের হাতে চিকিৎসা সহায়তা বাবদ নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। আহতের পিতা আজাদী কর্তৃপক্ষের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় এলাকার সমাজকর্মী মো. সৈয়দ মেম্বার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মো. সায়েম ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে যান। চিকিৎসার ১২ দিন পর তার পায়ে অপারেশন হয়। অপারেশনের ১৩ দিন পর ৩০ আগস্ট তাকে চমেক থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে আসার পর থেকে এ পর্যন্ত ৮ বার চট্টগ্রাম শহরে বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে গেছেন। এতে চিকিৎসকের ফি ছাড়া শুধু গাড়ি ভাড়া বাবদ তার প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান।
সায়েমের পিতা মো. সিরাজ ও মাতা রাশেদা আকতার জানান, সায়েমরা দুই বোন, এক ভাই। সায়েম ২য়। বড় সায়মা আকতার বিবাহিত। ছোট মরিয়ম আকতার সাইফা ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। দুই শতক বসতভিটে ছাড়া তাদের আর কোনো সম্পদ নেই। সায়েম লেখাপড়া করে চাকরি করে পরিবারের হাল ধরবে–এই প্রত্যাশায় পিতা কষ্ট করে তাকে লেখাপড়া করাচ্ছিলেন। তিনি জানান, আজাদীতে সংবাদ প্রকাশের পর অনেক রাজনৈতিক নেতা তাদের বাড়িতে এসেছেন সমবেদনা জানাতে। আহত সায়েমের চিকিৎসার জন্য অনেকে আশ্বস্ত করেছেন। সায়েমের পিতা ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য সকালের সহযোগিতা কামনা করেছেন।