যে টুর্নামেন্ট রাঙিয়েছেন তিনি বছরের পর বছর, যে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে তিনি সফলতম গোলস্কোরার, সেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখন আর খেলতে পারছেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কেমন লাগে এতে? উয়েফার সভাপতি আলেকসান্দের চেফেরিন এই অনুভূতিই জানতে চাইছিলেন। রোনালদো বললেন ভুলে যাবেন না, আমি এশিয়ান (চ্যাম্পিয়ন্স) লিগ খেলি। রোনালদোর কথা খুবই সত্যি। আল নাস্রের হয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলেন তিনি। তবে এটাও সত্যি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বলতে লোকে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগই বোঝে। রোনালদোরও সেটি না বোঝার কারণ নেই। শুরুতে ওই মজাটুকু করে পর্তুগিজ তারকা পরে ঠিকই শোনালেন তার অনুভূতি। পাশাপাশি একটু চমকও উপহার দিলেন। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেরার দুয়ার তিনি খুলে রাখলেন। মোনাকোয় গত বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরম্যাটের ড্র আয়োজনের বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন রোনালদো। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১৪০ গোল করা ফুটবলারকে বিশেষ এক সম্মাননা প্রদান করে উয়েফা। এই অনুষ্ঠানেই উয়েফা প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় ইতালির কিংবদন্তি গোলরক্ষক জানলুইজি বুফফনকে।
এই আয়োজনেই উয়েফা সভাপতির প্রশ্নের জবাবে রোনালদো তুলে ধরলেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তার হৃদয়ের কতটা জুড়ে আছে। সেখানেই ইঙ্গিত দিলেন, ভবিষ্যতে এখানে ফেরার সম্ভাবনা একদম শেষ হয়ে যায়নি। আমার জন্য এখানে ফিরতে পারা দারুণ সন্তুষ্টির। অসাধারণ এই পুরস্কারের জন্য কৃতজ্ঞতা, আমার কাছে এটা অনেক বড় ব্যাপার। আপনারা জানেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবলের সর্বোচ্চ ধাপ। আমার সুযোগ হয়েছে রেকর্ডই ফুটিয়ে তুলছে সবকিছু, তবে শুধু রেকর্ড নয়, আমি এটা বোঝাচ্ছি না এই টুর্নামেন্টে খেলার যে তৃপ্তি, এটাই আমাদের প্রেরণা। ফুটবলে কে জানে কখন কী হয়। কাজেই দেখা যাক, ভবিষ্যৎ কী বয়ে আনে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে একবার ও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চারবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন রোনালদো। তার ১৪০ গোলের চেয়ে ১১ গোল পিছিয়ে থেকে দুইয়ে লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন জাদুকরও এখন আর ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে নেই। বর্তমানে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে সক্রিয় ফুটবলারদের মধ্যে ৯৪ গোল নিয়ে সবার ওপরে রবের্ত লেভানদোভস্কি।