২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্য নিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে আজ নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালের স্বপ্ন আগেই ভঙ্গ হলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে মরিয়া ইংলিশরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পাশাপাশি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার আশা ধরে রাখতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই নেদারল্যান্ডসের। পুনেতে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি। ঘরের মাঠে ২০১৯ বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড। সেই ইংল্যান্ডের অবস্থা এবারের বিশ্বকাপে নাজেহাল। ৭ ম্যাচের ১টিতে জয় ও ৬টিতে হেরে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে রয়েছে ইংলিশরা। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের পর টানা পাঁচ ম্যাচ হেরেছে বাটলার–স্টোকসরা। সর্বশেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩৩ রানে হেরে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের। বিশ্ব মঞ্চে স্বপ্ন চুরমার হলেও, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ এখনও রয়েছে ইংল্যান্ডের। নিয়মনুযায়ী, এবারের বিশ্বকাপে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ সাত দল ও স্বাগতিক হিসেবে পাকিস্তান আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ পাবে। এজন্য শেষ দুই ম্যাচে জিততে হবে এবং অন্যান্য দলের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে ইংল্যান্ডকে। এক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ–শ্রীলংকা ও নেদারল্যান্ডস। তাই পয়েন্টের দিক দিয়ে এই তিন দলের চেয়ে এগিয়ে থাকতে হবে ইংলিশদের।
নেদারল্যান্ডসের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে ইংল্যান্ড। এই দুই ম্যাচেই জিততে চায় ইংলিশরা। আপতত নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ই দলের প্রধান লক্ষ্য বলে জানালেন ওপেনার জনি বেয়ারস্টো, ‘আমাদের লক্ষ্য এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত করা। এজন্য শেষ দুই ম্যাচেই জিততে চাই আমরা। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় দিয়ে হারের বৃত্ত থেকে বের হতে হবে দলকে। তাহলে আত্মবিশ্বাসও ফিরে পাবো আমরা। এজন্য তিন বিভাগেই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, যা আমরা এবারের আসরে শেষ পাঁচ ম্যাচে করতে পারিনি। আশা করছি, শেষ দুই ম্যাচে সেরা পারফরমেন্সই করবে সতীর্থরা।’
এ দিকে ৭ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নবমস্থানে আছে নেদারল্যান্ডস। শেষ দুই ম্যাচ জিতলে ডাচদের পয়েন্ট হবে ৮। টেবিলে ৮ করে পয়েন্ট নিয়ে সেমির দৌঁড়ে আছে নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। এই তিন দল যদি নিজেদের বাকী ম্যাচে হেরে যায়, আর নেদারল্যান্ডস দুই ম্যাচেই জিতে, তাহলে তিন দলের পয়েন্টই সমান হবে। তখন রান রেট বিবেচনা করা হবে। কিন্তু ঐ তিন দলের কেউ ১টি ম্যাচ জিতে গেলে বা ইংল্যান্ডের কাছে নেদারল্যান্ডস হারলে, সেমির আশা শেষ হয়ে যাবে ডাচদের। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে চায় নেদারল্যান্ডস। দলের অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস বলেন, ‘আমাদের সামনে এখন দু’টি সমীকরণ, বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখা। শেষ দুই ম্যাচে জিতলে দু’টি স্বপ্ন পূরণ হবে দলের। এজন্য আমরা বাকী দু’টি ম্যাচই জিততে চাই। কাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেরা ক্রিকেট খেলে পূর্ণ ২ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে চাই।’
এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৬বার মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড–নেদারল্যান্ডস। সবগুলোতেই জিতেছে ইংলিশরা। বিশ্বকাপের মঞ্চে তিনবারের দেখায় সবগুলোতে জিতেছে ইংল্যান্ড।