‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’ বুঝি একেই বলে! আলাউদ্দিনের কাজ হলো নগরীর ব্যস্ত মোড়ে রিক্সার পেছনে উঠে গলা থেকে হ্যাঁচকা টানে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে দৌঁড়ে পালানো। আর সুবল মহাজনের কাজ সেই স্বর্ণগুলো কিনে নেয়া। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। নগরীর হাজারী গলিস্থ সুবল মহাজনের স্বর্ণের দোকান মুক্তা জুয়েলার্স থেকে উদ্ধার করা হয় ১৩ মার্চ এক রিকশা যাত্রীর গলা থেকে ছিনিয়ে নেয়া স্বর্ণের চেইনটিও। এর সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন আজাদীকে বলেন, আলাউদ্দিন গত ১০/১২ বছর ধরে এ কাজ করছে। তার বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় পাঁচটি মামলা আছে। আর সুবলও যে এ কাজে বহুদিন ধরে আছে, তাও আমরা জানতে পেরেছি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোমিনুল আজাদীকে জানান, ইন্দিরা ধর (৩৭) একজন গৃহিনী। তিনি বাসা থেকে হাজারী গলিতে কিছু কেনাকাটা করতে যান গত ১৩ মার্চ। কেনাকাটা শেষে রিক্সাযোগে ফেরার পথে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে আন্দরকিল্লা মোড়ে পৌঁছলে আসামি আলাউদ্দিন (২২) ইন্দিরা ধরের স্বর্ণের চেইনটি ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় তিনি একটি মামলা (নং-৭৫) করেন। গত ২৩ মার্চ আন্দরকিল্লা মোড় থেকে আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে অংশ নেয়া এএসআই অনুপ কুমার বিশ্বাস জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আলাউদ্দিন জানায়, ছিনতাইকৃত স্বর্ণের চেইনটি হাজারী গলিতে সুবলের দোকানে বিক্রি করেছে সাড়ে সাত হাজার টাকায়। পরে হাজারী গলি স্বর্ণ বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় নিউ মুক্তা জুয়েলার্স নামক দোকান থেকে চোরাই স্বর্ণ কেনার অপরাধে আসামি সুবল মহাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।