৭৯ লাখ টাকার চেকের মামলায় আজমীর বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের মালিক ও বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামশুল আলমকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ।
১১ জুলাই (বৃহষ্পতিবার) নগরীর খতিবের হাট ফরিদার পাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় তাঁকে গ্রেফতারের পর কারাগারে প্রেরণ করা হয় বলে জানা যায়।
এর আগে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হাজী এন.এস কর্পোরেশনের মালিক মো. নজরুল ইসলাম (৪৪) বাদী হয়ে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত নং-৩, চট্টগ্রামে সি.আর মামলা ৫০/২০২০ দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সামশুল আলমের সাথে নজরুল ইসলামের ব্যবসার খাতিরে ঘনিষ্ঠতা হয়। সে সুবাধে সামশুল আলমের প্রয়োজনে নজরুল ইসলাম থেকে ৭৯ লাখ টাকা ধার নেন। প্রমাণ হিসেবে সামশুল আলম আজমীর বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের নামের (সামশুল আলমের মালিকানাধীন) একটি ৭৯ লাখ টাকার চেক নজরুল ইসলামকে দেন।
২০২০ সালের ২ জানুয়ারি টাকা উত্তোলন করতে গেলে সেখানে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ঐ দিনেই চেক ডিস্অনার করেন নজরুল ইসালম।
২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি একটি পত্রিকায় ৩০ দিনের মধ্যে চেক মূলে পাওনা টাকা পরিশোধ করার জন্য লিগ্যাল নোটিশ প্রচার করেন। সামশুল আলম নোটিশ পেয়ে কিভাবে টাকা আদায় করবে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়ার কথা মামলাতে উল্লেখ আছে।
এদিকে ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি নোটিশের সময় অতিবাহিত হলে ৯ ফেব্রুয়ারি সামশুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নজরুল ইসলাম। সে মামলার গ্রেফতারি পারোয়ানা মূলে নগরীর নিজ বাসা থেকে সামশুল আলমকে গ্রেফতার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদী নজরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সে আমার থেকে হাওলাদ নিয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত না দেয়ায় তার দেয়া চেক নিয়ে টাকা উত্তোলন করতে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তাঁকে নোটিশ দেয়া হয়।
সে নোটিশের তোয়াক্কা করেনি বিধায় তার বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।
চান্দগাঁও থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, গত বৃহষ্পতিবার সকাল তাকে গ্রেফতার করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চালান করে দেয়া হয়। তিনি এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।