বান্দরবানে চেক জালিয়াতির মামলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মো. শহীদুর রহমান সোহেলকে ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও সমপরিমাণ টাকা ফেরতের অর্থদণ্ড দিয়েছেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরু মিয়া মিঞা। আগামী সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হবে বলে জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী অরুণ বিকাশ তলুকদার বলেন, গত ২৬ মে ৩ মাসের কারাদণ্ড এবং ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা ফেরতের অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আইনজীবী ও মামলার এজাহারের তথ্যমতে, ব্যবসার কথা বলে বান্দরবান পৌরসভার চেয়ারম্যান পাড়া এলাকার বাসিন্দার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের পুত্র দণ্ডপ্রাপ্ত মো. শহিদুর রহমান সোহেল অভিযোগকারী মো. হারুনুর রশিদের কাছ থেকে ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা ধার নেন। নির্ধারিত সময়ে টাকা ফেরত না দেয়ায় ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পৌরসভা মার্কেট ভবনে এক নালিশি বৈঠকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি অভিযোগকারীকে ইউসিবি ব্যাংকের একটি চেক দেন। কিন্তু অভিযোগকারী তিন দফায় ইসলামী ব্যাংকে চেকটি জমা দিলে প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যাত হয়, কারণ আসামির একাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না। ফলে ২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অভিযোগকারী মো. হারুনুর রশিদ আদালতে চেক জালিয়াতি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী মো. হারুনুর রশীদ জানান, আদালতের রায়ে আমি সন্তুষ্ট।
বাদীর আইনজীবী মো. খলিলুর রহমান বলেন, আসামি মো. শহিদুর রহমান সোহেলের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলায় কোর্ট তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছে। এরপরেও আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত অবমাননা করায়, আদালত তার বিরুদ্ধে ৩ মাসের সাজা পরোয়ানা জারি করেছে এবং চেকের সমপরিমাণ টাকা আদায়ের রায় দেয়া হয়। এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মো.শহীদুর রহমান সোহেলের মোবাইল, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বান্দরবান জেলা সমন্বয় কমিটির ২৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে মো. শহীদুর রহমান সোহেলকে প্রধান সমন্বয়কারী করা হয়।