এএফসি অনূর্ধ্ব–২০ উইমেন’স এশিয়া কাপের বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে আর পেরে উঠল না বাংলাদেশের নারীরা। এই ম্যাচটি জিতলে কথাই ছিল না। ড্র করলেও এশিয়া কাপের চূড়ান্ত পর্বে চলে যেতো বাংলাদেশ। হেরে গেলেও একটি সম্ভাবনা থাকতো। তবে সেটা কিছুটা সমীকরণের ওপর নির্ভরশীল ছিল। শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়লেও শেষ পর্যন্ত অনূর্ধ্ব–২০ এশিয়া কাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের কিশোরীরা। মাত্র এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে নারী ফুটবলের পরপর দুটি দল এশিয়া কাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করল।
বাংলাদেশের ম্যাচ শেষের পর চীনের কাছে লেবানন হেরে গেলে সেরা তিন রানার্স আপের এক দল হিসেবে এশিয়া কাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–২০ নারী দল। বাছাই পর্বের নিজেদের শেষ ম্যাচে চ্যাম্পিয়নশিপের দুইবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬–১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। শেষটা হতাশার হলেও চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিতে পারার আনন্দ নিয়ে দেশে ফিরতে পারবে আফাঈদা–সাগরিকারা। অথচ স্বাগতিক লাওসকে ৩–১ গোলে হারিয়ে বাছাই শুরু করা বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তিমুর লেস্তেকে ৮–০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল। তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ পিটার জেমস বাটলারের দলের এখনও অবশ্য মূল পর্বে যাওয়ার আশা বেঁচে আছে। তবে সেটা জটিল সমীকরণে। আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা তিন রানার্সআপ পাবে থাইল্যান্ডের মূল আসরে খেলার টিকেট। তিমুর লেস্তেকে ৯–০ ব্যবধানে গুঁড়িয়ে শুরু করা দক্ষিণ কোরিয়া লাওসের বিপক্ষে জয় পায় ১–০ গোলে। বাংলাদেশকে হারিয়ে টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে মূল পর্বে উঠল তারা। গ্রুপ সেরা হতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ড্রই যথেষ্ট ছিল বাংলাদেশের।