চুরির টাকা ফেরত দিতে না পারায় বড় ভাইয়ের ইটের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। নিহত যুবকের নাম মো. ওসমান গণি (২০)। তিনি সরল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর সরল গ্রামের মোহাম্মদ হারুনুর রশিদের ছেলে। সোমবার রাতে সংঘটিত ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিহতের মা রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে আপন বড় ছেলে রেদোয়ান হক মানিক (২৩) সহ ৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এরই মধ্যে পুলিশ মানিকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
থানায় দায়ের করা মায়ের অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে জনৈক শহিদুল আলমের মায়ের একজোড়া কানের দুল, নাকের ফুল, একটি গলার চেইন ও নগদ ৪১ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায় ওসমান গণি। বিষয়টি ওসমানের বড় ভাই রেদোয়ান হক মানিক জানতে পেরে চুরি করা অলংকার ও টাকা ফেরত দিতে বলে। ওসমান গণি কানের দুল, নাকের ফুল, একটি গলার চেইন ও নগদ ১১ হাজার টাকা ফেরত দেয়। আরও বাকি ৩০ হাজার টাকা ফেরত দিতে না পারায় বড়ভাই মানিকসহ শহিদ ও অন্যরা ওসমান গণিকে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে মানিক ইট দিয়ে ওসমান গণিকে মাথায় আঘাত করে ও শহিদুল আলম কাঠের বাটাম দিয়ে তার শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করে। এছাড়া আলমগীর, মাহমুদুল্লাহসহ অনেকে ওসমানকে লাথি, কিল, ঘুষি মারতে থাকে। পরে মানিক আর শহিদ মিলে সে সময় ওসমান গণিকে ধরাধরি করে বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে যায় তারা। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে সোমবার রাত সোয়া ১১টার সময় ওসমানকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার সকালে থানা পুলিশ ওসমান গণির লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, ওসমান গণি হত্যাতাণ্ডের ঘটনায় রেদোয়ান হক মানিক ও মো. মাহমুদল্লাহ নামে জড়িত দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।