চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) উপাচার্য রফিকুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। বুধবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন চুয়েটের রেজিস্ট্রার শেখ মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, তিনি (উপাচার্য) বিকেলে আমাকে কল দিয়ে পদত্যাগের বিষয়টি জানিয়েছেন। পদত্যাগপত্রটি এখনও আমি হাতে পাইনি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। শহরে আছেন। সেখান থেকেই সেটা পাঠিয়েছেন। সেটা কিছুক্ষণের মধ্যেই হাতে পাব। এরপর আমরা ই-মেইলে পদত্যাগপত্রটি আচার্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব।’
এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকালে চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলামের কাছে তিন দফা দাবি লিখিতভাবে জমা দেয় শিক্ষার্থীরা। উত্থাপিত দাবির প্রথম দফায় চুয়েটের বর্তমান উপাচার্য, উপ- উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে আগামী ১৪ আগস্টের মধ্যে পদত্যাগের দাবি জানানো হয়।
যদিওবা আজ বুধবার এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে ‘চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। চুয়েটের রেজিস্ট্রার শেখ মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এই অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
অন্যদিকে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের শিক্ষক শামসুল আরেফিনকে তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিনের দায়িত্ব ও সবধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করতে হবে বলেও দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ এবং রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে এমন কোনো শিক্ষক ব্যবস্থাপনামূলক পদে থাকতে পারবেন না বলেও দাবিতে উল্লেখ করা হয়।
পাশাপাশি দফায় চুয়েট শিক্ষার্থী সাগরময় আচার্য, বিজয় হোসেন, আজহারুল মোহাম্মদ মুন্না, তৌফিকুর রহমান, ইমাম হোসেন নীরব সরাসরি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের প্রতি হামলা, হত্যাচেষ্টা এবং হুমকি-ধমকি দেওয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের ছাত্রত্ব বাতিলসহ আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া চুয়েটের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতরের সংশ্লিষ্টদের খামখেয়ালিপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের কথা বিবেচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ও সংশ্লিষ্টদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।