চীনের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি চায় ভুটান, ভারত মানবে কী?

| শুক্রবার , ২৮ এপ্রিল, ২০২৩ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

দুইপাশে এশিয়ার দুই বৃহৎ প্রতিবেশীর মাঝখানে ছোট্ট দেশ ভুটান। যদিও অনন্য ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে হিমালয়ের ছোট্ট এই দেশটির মূল্য রয়েছে। যে দুটো দেশের সঙ্গে এখনো চীনের স্থল সীমান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি হয়নি তার একটি ভুটান, অন্যটি ভারত। চীনের বৈশ্বিক প্রভাব যেভাবে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে শক্তিশালী এই প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তি করে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে ভুটানের উপর চাপ বাড়ছে। খবর বিডিনিউজের।

কিন্তু চীনের সঙ্গে চাইলেই একটি চুক্তি করা ভুটানের জন্য কঠিন। সম্ভাব্য একটি চুক্তির জন্য তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র ভারতের অনুমোদন প্রয়োজন বলে মনে করে বিবিসি। থিম্পু ও দিল্লির মধ্যে দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এছাড়া, ভারত থিম্পুকে কোটি কোটি ডলারের অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তার প্রস্তাব দিয়ে আসছে। চীনের সঙ্গে হিমালয়ের উত্তর ও পশ্চিমের ভূখণ্ড নিয়ে ভুটানের বিরোধ রয়েছে। সমস্ত বিতর্কিত স্থানগুলির মধ্যে মূল সমস্যা ডোকলাম নামক একটি কৌশলগত মালভূমি নিয়ে। যা ভারত, ভুটান ও চীনের সংযোগ স্থলের কাছাকাছি অবস্থিত। ভুটান এবং চীন উভয় ডোকলাম মালভূমিকে নিজেদের বলে দাবি করে এবং ভারত থিম্পুকে সমর্থন করে। ভারতের অবশ্য থিম্পুকে সমর্থন করার নিজস্ব কারণ আছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডোকলাম মালভূমি নিরাপত্তার জন্য ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীন যদি ওই অঞ্চলে কোনো ধরণের আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয় তবে তা ভারতের শিলিগুড়ি করিডোরের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। যেটা চিকেনস নেক নামে পরিচিত। এটি মূলত ২২ কিলোমিটার চওড়া একটি অঞ্চল যা ভারতের মূল ভূখণ্ডকে এর উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। সমপ্রতি ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বেলজিয়ামের একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে তার দেশের সীমাবদ্ধতাকে তুলে ধরেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইরানের প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতাকে গুলি করে হত্যা
পরবর্তী নিবন্ধশেখ জামাল হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান : তথ্যমন্ত্রী