চাঁদের উদ্দেশ্যে একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে চীন। চাঁদের দূরবর্তী অংশে আসন্ন এক মিশনে পৃথিবীর স্থল কার্যক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের সেতু হিসাবে কাজ করবে স্যাটেলাইট। বুধবারের এ উৎক্ষেপণে দেশটির দীর্ঘ দিনের চন্দ্রাভিযান কর্মসূচির এক নতুন পর্যায় শুরু হল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম অনুসারে, এক দশমিক দুই মেট্রিক টন ওজনের ‘কিউকিয়াও–২’ নামের স্যাটেলাইট, সঙ্গে তিয়ানদো ১ ও ২ নামের দুটি ছোট আকারের স্যাটেলাইট নিয়ে ‘লং মার্চ ৮’ নামের এক রকেট চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ প্রদেশ হাইনান থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
চাঁদের যে দিকটা সবসময় পৃথিবীর দিকে মুখ করে থাকে সেটিই পৃথিবীর কাছাকাছি অংশ। এর অর্থ, চাঁদের অপর পাশ বরাবরই আমাদের দৃষ্টিশক্তির বাইরে থাকে ও সেখান থেকে তথ্য আদান প্রদান করা প্রায় অসম্ভব।
কিউকিয়াও–২ চাঁদ প্রদক্ষিণ করবে ও ‘চ্যাং’ই–৬’ মিশনের সংকেত আদান প্রদানে সাহায্য করবে। মিশনটি মে মাসে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে। রোবোটিক চ্যাং’ই–৬ মিশন চাঁদের প্রাচীন অববাহিকা থেকে নমুনা উদ্ধারের চেষ্টা করবে ও প্রথমবারের মতো চাঁদের লুকানো দিক থেকে উপাদান সংগ্রহ করবে।
পাশাপাশি, ২০২৬ সালের চ্যাং’ই–৭ ও ২০২৮ সালে চ্যাং’ই–৮ মিশনেও একটি রিলে প্ল্যাটফর্ম হিসাবে এ স্যাটেলাইট ব্যবহারের কথা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স। ২০৪০ সালের মধ্যে, কিউকিয়াও–২ এক ঝাঁক রিলে স্যাটেলাইটের অংশ হবে যা মঙ্গল ও শুক্রের মতো গ্রহে অভিযান ও অনুসন্ধানের জন্য যোগাযোগের সেতু হিসাবে কাজ করবে।
তিয়ানদো–১ ও ২ নামের ছোট উপগ্রহদুটি ওই রিলে স্যাটেলাইটের ঝাঁক তৈরির জন্য পরীক্ষা চালাবে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর জন্য পরিকল্পনা করা চীনের গবেষণা কেন্দ্রের জন্য যোগাযোগ, ন্যাভিগেশন ও দূরবর্তী অনুধাবনে সাহায্য করবে স্যাটেলাইটের এ ঝাঁক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশের নিয়োজিত আধা ডজন স্যাটেলাইটের সঙ্গে চীনের ‘কিউকিয়াও–২’ যোগ দেবে।
‘কিউকিয়াও–২’ অন্তত আট বছরের জীবনকালের জন্য নকশা করা হয়েছে, ফলে ২০৩০ সালের পরেও বিভিন্ন চাঁদের মিশনে সাহায্য করতে পারবে এটি। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, সেসময়েই চাঁদে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে চীনের।