চীনে প্রবেশে কোয়ারেন্টিন বিধি উঠছে জানুয়ারি থেকে

| বুধবার , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৪:৫৪ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘদিনের শূন্য কোভিড নীতিতে বড় পরিবর্তন আনা চীন দেশটিতে প্রবেশকারীদের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন বিধিও ৮ জানুয়ারি থেকে তুলে নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। তিন বছর সীমান্ত বন্ধ রাখা দেশটি এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কার্যত কাজ করতে, পড়তে কিংবা পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে ইচ্ছুকদের জন্য চীনের দ্বার উন্মুক্ত করে দিল, বলছে বিবিসি। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশটি এমন এক সময়ে বিধান তুলে নিচ্ছে, যখন ভাইরাস মোকাবেলায় দেওয়া কঠোর বিধিনিষেধ তোলায় দেশটির বিভিন্ন এলাকার সংক্রমণ পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।

রোগীর চাপে দেশটির হাসপাতালগুলোর হিমশিম খাওয়া এবং বয়স্কদের মৃত্যুর খবরও আসছে। চীনের স্বাস্থ্য কমিশন তথ্য দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার পর দেশটিতে সরকারি হিসাবে দৈনিক শনাক্তমৃত্যুর সংখ্যাও জানা যাচ্ছে না। বেইজিং শুক্রবার দেশটিতে নতুন ৪ হাজার আক্রান্ত এবং গত সপ্তাহের টানা চারদিন কেউ কোভিডে মারা যায়নি বলে জানিয়েছিল। রোববার তারা জানায়, তারা আর সব এলাকার দৈনিক শনাক্তমৃত্যু একসঙ্গে প্রকাশ করবে না। তবে ব্রিটিশ স্বাস্থ্য তথ্য কোম্পানি এয়ারফিনিটির অনুমান, চীনে এখন কোভিডে প্রতিদিন ১০ লাখের বেশি আক্রান্ত ও ৫ হাজার মৃত্যু হচ্ছে। বছর তিনেক লকডাউন, সীমানা বন্ধ রাখা এবং কোভিড আক্রান্ত ও তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখার পর চীন এখন কোভিডকে সঙ্গী করে জীবনযাপনের পথ বেছে নিচ্ছে। বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে তারাই সর্বশেষ এ পথে এলো। তাদের শূন্য কোভিড নীতি অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি করেছে, কঠোর সব বিধিনিষেধ ও বারবার শনাক্তকরণ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে নাগরিকরা হয়েছে বিরক্ত, ক্লান্ত।

এগুলো নিয়ে অসন্তোষের এক পর্যায়ে নভেম্বরে দেশটির বেশ কয়েকটি শহর কোভিডবিধি ও শি জিনপিংয়ের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভও দেখেছে। ওই বিক্ষোভের কয়েক সপ্তাহ পরেই চীন একে একে বিধিনিষেধ তোলা শুরু করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রস্তাব মানো, নয়তো সিদ্ধান্ত রুশ সেনাবাহিনীর
পরবর্তী নিবন্ধ১০২ সন্তান, ৫৬৮ নাতি-নাতনী