প্রথমবারের মতো চীন পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী অন্তত একটি সাবমেরিন সমুদ্রে সার্বক্ষণিক টহলে রেখেছে বলে পেন্টাগনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
চীনের এই পদক্ষেপ বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের চেষ্টায় চাপ বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত চীনের সামরিক সক্ষমতার মূল্যায়ন সংক্রান্ত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইজিংয়ের জিন–শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ৬টি সাবমেরিনের বহর হাইনান দ্বীপ থেকে দক্ষিণ চীন সাগরে ‘প্রায়–সার্বক্ষণিক’ টহল দিচ্ছে। এগুলো নতুন, দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত। যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রেও আঘাত হানতে সক্ষম বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। ১৭৪ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনটি গত বছরের নভেম্বরে প্রকাশিত হওয়ার পর তেমন মনোযোগ কাড়তে না পারলেও এটি চীনের সামরিক সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ার বিষয়টি জানান দিচ্ছে, বলেছেন নৌ অপারেশন সম্বন্ধে অবগত চার আঞ্চলিক সামরিক অ্যাটাশে ও পাঁচ নিরাপত্তা বিশ্লেষক। চীনকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে অকাস জোট করেছে। তাতে চুক্তি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়া পারমাণবিক শক্তিধর সাবমেরিনও পাবে। কিন্তু নিজেদের একটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করতে করতে অস্ট্রেলিয়ার দুই দশকেরও বেশি সময় লেগে যাবে। এর মধ্যে সমুদ্রে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে চীনের নিয়মিত টহল যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের ওপর তুমুল চাপ সৃষ্টি করায় তারা এখন স্নায়ু–যুদ্ধকালীন কৌশলের মতো নৌযান মোতায়েনের তীব্রতা বাড়িয়েছে।
চীনের পারমাণবিক বাহিনীর দ্রুত বিকাশের মানে দাঁড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলবিদদের প্রথমবারের মতো রাশিয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয় কোনো ‘পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিপক্ষকে’ নিয়েও মাথা ঘামাতে হবে।