কক্সবাজারে চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বৃষ্টি দাশ নামের এক কলেজ ছাত্রী। গতকাল বুধবার শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হরিজন পাড়ায় নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বৃষ্টি কক্সবাজার কমার্স কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। সে ওই এলাকার বাবুল দাশের মেয়ে।
জানা গেছে, বৃষ্টির সাথে বাবু দাশ নামের এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিক বাবু দাশ তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করে। সর্বশেষ বৃষ্টিকে মেসেঞ্জার ও ফেসবুকে ব্লক করে দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বাবু। যার ফলে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আত্মহত্যার পূর্বে বৃষ্টি একটি চিরকুট লিখে যায়।
প্রেমিকের উদ্দেশে যা লিখা ছিল চিরকুটে : বাবু, তুমি আমার সাথে যা করেছ, ভালো করনি। তুমি আমার সঙ্গে এমনটা করতে পার কোনোদিন ভাবিনি। যাক বাবু, তুমি তোমার বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরেছো যে তুমি আমাকে নষ্ট করে দেখাবে; আমার মান–সম্মান নিয়ে খেলবে। ঠিকই খেলেছ! তুমি বাজিতে জিতে গেছ। কিন্তু আমার জীবন নিয়ে এভাবে খেলে তুমি কী এমন পেয়েছ বল তো? আমি তোমার জন্য কি না করেছি, অথচ দিনশেষে তুমি আমাকে পৃথিবী থেকে বিদায় করে দিলে। আর তুমি আমাকে বিয়ে করার আশা দিয়ে কত কিছুই না করলে, এটা কী ঠিক হলো বাবু? যদি আমার মা–বাবা বিচার না করে, তাহলে ভগবান বিচার করবে তোমার। ভালো থেকো আমার বাবু!
চিরকুটে বাবা–মাকে যা বলল : মা–বাবা, আপনারা আমাকে অনেক ভালোবাসেন। আমিও ভালোবাসি আপনাদের সবাইকে। সব মা–বাবাই তো চাই যে তার মেয়েকে ভালো ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে। কিন্তু আমার শরীরের ভিতরে–বাইরে কি হচ্ছে তা কেবল আমি জানি। আমাকে বিয়ে দিয়ে কোনোদিন সুখ পেতে না। কারণ আমি জানি আমার শরীরে কী আছে, কী নাই। যাক, ভালো থাকবেন সবাই। আমি চললাম।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, বৃষ্টির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। চিরকুট দেখে ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।