কক্সবাজারের মহেশখালীতে চিংড়ি প্রজেক্ট থেকে তুলে নিয়ে তোফায়েল আহমদ সিদ্দিকী (৩৩) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ২৪ আগস্ট ভোরে উপজেলার কালারমারছড়া কাউল্যার ব্রিজ সংলগ্ন বাঁশঝাড়ে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে চিংড়ি প্রজেক্ট থেকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত তোফায়েল আহমদ সিদ্দিকী কালারমার ছড়ার মোহাম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামের মরহুম ছিদ্দিক আহমদ মাতব্বরের ছেলে এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত মহেশখালীর শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর চাচা। তিনি পেশায় একজন চিংড়ি ব্যবসায়ী ছিলেন।
নিহতের পরিবার জানায়, শনিবার গভীর রাতে মহেশখালীর কালারমারছড়া বাজারের পশ্চিমে আট জইন্যা ঘোনা নামক চিংড়ি ঘেরে হামলা চালায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। তারা প্রথমে বিপুল পরিমাণ মাছ লুট করে নেয় এবং ঘেরের পাহারাদারদের ওপর আক্রমণ করে। পরে তোফায়েল আহমেদ সিদ্দিকীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয়রা রাতভর তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি। অবশেষে গতকাল ভোরে নোনাছড়ি কাউল্যার ব্রিজ এলাকার বাঁশঝাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে খবর পেয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মনজুরুল হক বলেন, কালারমার ছড়ায় চিংড়ি প্রজেক্টে এক যুবককে হত্যা করার খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তোফায়েলকে হত্যার ঘটনায় একাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসীর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
ওসি বলেন, এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে ইতিমধ্যে সাড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় কালারমার ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিহত তোফায়েল আহমেদ সিদ্দিকীর জানাজা শেষে মোহাম্মদ শাহ ঘোনা কবরস্থানে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে।