কক্সবাজারের চকরিয়ার চিংড়িঘের দখল করার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন একজন ঘের কর্মচারী। এসময় বন্দুকসহ ৪ সন্ত্রাসীকে স্থানীয় জনতা পাকড়াও করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
শনিবার বিকেল তিনটার দিকে উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা চিংড়িজোন চরণদ্বীপ মৌজার ভাটামনির খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ এহেসান (৫৩)। তিনি সওদাগরঘোনা গ্রামের মৃত সামশুল আলমের ছেলে।
আটক চারজন হলেন, চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে আবু তাহের (৪৪), একই এলাকার জাকের আহমদের ছেলে মোহাম্মদ মিরাজ (৩২), নুরুনবীর ছেলে আবু তাহের মিয়া (৪৫) ও আব্দুল মজিদের ছেলে দিদারুল ইসলাম (২৪)।
জানা যায়, উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা এলাকায় লিজভুক্ত ৮৩০একর চিংড়ি প্লট রয়েছে। ঘেরগুলো দীর্ঘদিন নবায়ন না হওয়ায় দখল–বেদখল হয়ে সন্ত্রাসীদলের নিয়ন্ত্রণে ছিল। গত শুক্রবার রাতে ২০ থেকে ২৫জন সন্ত্রাসী ঘেরগুলো দখল করে। এরপর শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঘেরগুলোর মালিকপক্ষ সেখানে গেলে দুইপক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে একজন ঘের কর্মচারী গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে চকরিয়া থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে চরণদ্বীপ বাটামনির খাল এলাকার চিংড়িঘেরের একটি বাসা থেকে একটি দেশীয় তৈরি কাটা বন্দুকসহ আবু তাহের মিয়াকে পাকড়াও করে। পরে বিভিন্ন এলাকা থেকে আবু তাহের, মিরাজ ও দিদারুল ইসলামকে পাকড়াও করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসি মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, চিংড়ি জোনে ৮৩০একর ঘের দখলের খবর পেয়ে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন একটি খামার বাড়ি থেকে অস্ত্রসহ একজনসহ আরো তিনজনকে পাকড়াও করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।