চায়ের দোকানে মিলল ফেলে যাওয়া কাটা রাইফেল

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৩০ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চলাকালে ১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডে সংঘটিত আলাউদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের ‘ধীরে চলো নীতি’ ক্ষুব্ধ করে তুলেছে এলাকাবাসীকে। গতকাল স্থানীয় এক দোকানদারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রধান আসামির ঘরের উল্টো পাশের একটি চায়ের দোকান থেকে অস্ত্র উদ্ধার করতে গিয়ে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েছিল পুলিশ। সিএমপির উপ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমবাগান এলাকা থেকে একটা কাটা রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্রটি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র কিনা তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। আসামিদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, স্থানীয় চা দোকানি শামীম গতকাল শুক্রবার দোকান খুলতেই অস্ত্রটি তার নজরে আসে। সাথে সাথেই তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান। শামীম পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন অপরিচিত কিছু ছেলে সশস্ত্র অবস্থায় তার দোকানের ভেতর ঢোকে। পরে হত্যার ঘটনা ঘটলে শামীম দ্রুত দোকান বন্ধ করে চলে যান। গত দু’দিন তিনি দোকান খোলেননি। পরে খুলশী থানা পুলিশ গিয়ে চায়ের দোকানের ভেতর থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের ভেতর একটি গুলি ও পাশেই একটি ব্যবহৃত খোসাও উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যে দোকান থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে তার ঠিক উল্টো পাশেই আলাউদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. নাছিরের ঘর। অস্ত্রটি উদ্ধারের পর পুলিশ বিকেল সোয়া ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল ইউসেফ আমবাগান টেকনিক্যাল স্কুল কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় নাছিরসহ হত্যা মামলার অন্যান্য আসামিদের ঘরে তল্লাশি চালায়। এ সময় আসামি ধরতে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ এনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্বাচনের দিন বেশ কিছু সন্ত্রাসী ওই ব্যক্তির ঘরে আশ্রয় নেয়। সেখানে বেশ কিছু অস্ত্র এখনও মজুদ আছে। পুলিশ তল্লাশি চালালে এসব অস্ত্রের সন্ধান পাবে। তারা জানায়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমবাগান এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনেছিলেন কাউন্সিলর প্রার্থী ও নির্বাচিত কাউন্সিলর ওয়াসিম চৌধুরী। সেদিন আমবাগান ইউসেপ স্কুল ভোট কেন্দ্র দখল করে তার সন্ত্রাসী গ্রুপ। এসময় এলাকাবাসী ভোট কেন্দ্র মুক্ত করার চেষ্টা করলে, সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে। এতে আলাউদ্দিন (১৯) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরে এলাকাবাসী ওয়াসিমের সমর্থকদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় পালাতে গিয়ে অস্ত্রশস্ত্র ফেলে সন্ত্রাসীরা বিক্ষিপ্তভাবে এলাকার বিভিন্ন দোকানে ঢুকে যায়। তাদের ফেলে যাওয়া অস্ত্রের মধ্যে একটি ইউসেপ স্কুল সংলগ্ন শামীমের দোকান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তিনি এসব ঘটনার সাথে জড়িত নন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ল ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
পরবর্তী নিবন্ধনির্বাচনেও অটোপাসের ব্যবস্থা করুন : বাবলু