চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানিতে উপস্থিত হতে বাদীকে সমন

আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১১ আগস্ট, ২০২৫ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় দাখিলকৃত চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি আগামী ২৫ আগস্ট বাদীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য বাদীর প্রতি সমন দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ এ আদেশ দেন।

সহকারী পিপি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী আজাদীকে বলেন, আজকে (গতকাল) ধার্য তারিখ ছিল। কিন্তু বাদী অসুস্থ থাকায় হাজির হতে পারেননি। পরে আদালত শুনানির জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেন। তিনি বলেন, তদন্তে পাওয়া সুকান্ত নামের একজনকে চার্জশিটে

অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। আজকে (গতকাল) আদালতে আমরা সে বিষয়টি তুলে ধরেছি। সুকান্ত অব্যাহতি পাক তা আমরা চাই না।

গত ১ জুলাই আলিফ হত্যা মামলায় চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাশসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) মো. মাহফুজুর রহমান চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত বাকি ৩৭ জন হলেন চন্দন দাশ মেথর, রিপন দাশ, রাজীব ভট্টাচার্য্য, শুভ কান্তি দাশ, আমান দাশ, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত প্রকাশ রমিত দাস, রুমিত দাশ, নয়ন দাশ, ওমকার দাশ, বিশাল, লালা দাশ, সামীর, সোহেল দাশ, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, শ্রী গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, লালা মেথর, দুর্লভ দাশ, সুমিত দাশ, সনু দাস, সকু দাশ, ভাজন, আশিক, শাহিত, শিবা দাস ও দ্বীপ দাশ। এদের মধ্যে চিন্ময় দাশ, চন্দন দাশ, রিপন দাশ, রাজীব ভট্টাচার্য্য, আমান দাশ, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত, নয়ন, সামীর, শিব কুমার, ওম দাস, অজয়, দেবী চরণ, দুর্লভ, সুমিত দাশ ও সনু দাস ঘটনা পরবর্তী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক।

আদালত সূত্র জানায়, আলিফ হত্যা মামলাটি হয়েছিল ৩১ জনের বিরুদ্ধে। এর মধ্য থেকে গগন দাশ, বিশাল দাশ ও রাজাপুকুর মেথরকে চার্জশিটে রাখা হয়নি। এ তিনজনের বিষয়ে চার্জশিটে বলা হয়েছে, ঘটনার সাথে এ তিনজনের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাকি থাকে ২৮ জন। এ ২৮ জনের সাথে চিন্ময় দাশসহ ১০ জনকে যুক্ত করে মোট ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত চার্জশিট দাখিল করেছেন। ঘটনার সাথে চিন্ময় দাশসহ এ ১০ জনের জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্তে উঠে এসেছে।

আদালত সূত্র আরো জানায়, মামলার তদন্তকালীন সুকান্ত নামে অপর একজনের নাম ওঠে। কিন্তু তদন্তে সুকান্তের সঠিক নামঠিকানা পাওয়া যায়নি। এজন্য তার অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নগরীর নিউ মার্কেট মোড়ে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে গত বছরের ৩১ অক্টোবর চিন্ময় দাশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া উক্ত মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করা হয়। ওইদিন আদালত এলাকা এবং আশেপাশে সংঘাত হয় এবং আইনজীবী আলিফ খুন হন। এসব ঘটনায় সাতটি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে কোতোয়ালী থানায় ৬টি ও আদালতে একটি মামলা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহত্যা নয়, ঋণগ্রস্ত রিপনের মৃত্যু দুশ্চিন্তা থেকে স্ট্রোকে
পরবর্তী নিবন্ধঅবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গুরুত্ব, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার আহ্বান